হযরত এখন বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। আর এই নির্বাচনী প্রচারণায় যে লিফলেট দেয়া হয় তার মধ্যে বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহিম লেখা থাকে। এখন আমি যখনি দেখি তখন চেষ্টা করি বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহিম অংশটুুকু ছিড়ে পকেটে নিতে এবং পরে তা একটি ভালো জায়গায় দাফন দিতে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে অনেক সময় প্রচারণা এত দীর্ঘ হয় যে যদি সকল কাগজ কুড়াতে যাই তবে কঠিন হয়ে যাবে। কারণ তারা প্রচারণা করতে করতে সামনে এগুতে থাকে অার মানুষ কে দিতে থাকে। যার অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আপনার আছে। এখন এগুলোর ব্যাপারে কি করণীয়। দেখা যায় সারা রাস্তাময় বিভিন্ন জায়গায় এই লিফলেট পড়ে আছে। অনেক সময় ময়লা পানিতেও পড়ে থাকে। অনেক সময় মানুষের পায়ের পাড়ায় এবং কেদায় একাকার হয়ে থাকে। যা উঠাতে কষ্ট হয়। কোরআনের একটি আয়াতের এমন অবমাননার বিষয়টি খুব খারাপ লাগে। এগুলো ব্যাপারে কি করণীয়? যাযাকাল্লাহু খাইর। عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.
প্রিয় হুজুর আসসালামু আলাইকুম, আমি একটি এমপিওভুক্ত বেসরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছি। কলেজটি ওয়াকফ সম্পত্তির উপর তৈরি। কলেজটিতে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ও নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো অধ্যক্ষ নাই, এক লোক কখনো অধ্যক্ষ, কখনো ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, কখনো উপাধ্যক্ষ, ধরা পড়লে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি ইত্যাদি বলে তবে যতক্ষণ ধরা না খায় ততক্ষণ বিভিন্ন জনের কাছে নিজেকে অধ্যক্ষ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সুযোগ-সুবিধা অবৈধভাবে ভোগ করে আসছে। তার বিষয়ে ডিসি অফিসে অভিযোগ করলে তার প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নিয়োগ নাই প্রমানিত হয় ডিসি অফিসের ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদন্ত করার পর, মন্ত্রণালয়ের তদন্তেও একইভাবে প্রমানিত হয়। কিন্তু যেকোনোভাবে তাদের ম্যানেজ করে বিষয়টি বারবার ধামাচাপা দেয়া হয়। কলেজের শুরুতে তারভাইকে যার শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে কিন্তু নিয়োগ নাই, যিনি অন্য পেশায় নিয়োজিত তাকে অধ্যক্ষ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করা হয়। কলেজ পরিচালনা কমিটিতে তার মা, ফুফাতো ভাই, তার বাবার টাইপ-শর্টহ্যান্ড ছাত্র ইত্যাদি দিয়ে গঠন করে ২০১০ সাল পযন্ত। ৯ জন দিয়ে ১০ জনের কমিটি গঠন করে যেখানে তার ২ টা স্বাক্ষর থাকে একটা বাংলায় আরেকটা ইংরেজিতে, একটা অধ্যক্ষ পরিচয়ে, আরেকটা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পরিচয়ে। নিজের পকেট থেকে কোনদিন একটা টাকা দিয়ে সরকারি জায়গা অবস্থিত সরকারি টাকায় নির্মিত কলেজে দীর্ঘদিন স্ব-পরিবারে বসবাস করে কলেজের আয়ের সম্পর্ণ টাকা প্রতিবছর আর্তসাত করে দাতা সদস্য ও অধ্যক্ষ সাজে।অনিয়ম করার সুবিধার্থে কোনো পুরুষ শিক্ষক-কর্মচারি নিয়োগ পাবে এই ভয়ে অধ্যক্ষ, হিসাবরক্ষকসহ ১০ টি পদ ২০০০ সাল থেকে খালি রেখে নিয়োগ দানে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। আমাদের বেতনভাতার কলেজ অংশ বাবদ পাওনা এক কানাকড়িও না দিয়ে উল্টো প্রতিমাসে এমপিও বিল পাশ করানোর নাম করে আমাদের কাছ থেকে ২০০-৫০০ টাকা পযন্ত নিয়ে নেয়। আমি ছাড়া বাকী চারজন মহিলা প্রভাষক ও ডিমনেস্টার বর্তমানে এমপিওভুক্ত আছে, ভুয়া অধ্যক্ষের নিয়োগ ও এমপিও নাই। ২০১০ সাল হতে শুধু এডহক কমিটি করে করে সময় পার করছে এই ভুয়া অধ্যক্ষ, আমাদের চাকুরীর বয়স ৮ বছর পুর্ণ হয়ে বর্তমানে ১৩ বছরে চলমান, আমিসহ সকলেই ন্যায্য পাওনা টাইম স্কেল হতে বঞ্চিত, কারণ ভুয়া অধ্যক্ষের মাধ্যমেই টাইম স্কেলের জন্য আবেদন করতে হবে, আর ভুয়া অধ্যক্ষ কমিটি নাই কমিটি নাই করে করে আমাদের টাইমস্কেলের আবেদন করতে দিচ্ছে না। ভুয়া অধ্যক্ষের কারণে প্রতিমাসে সরকারি খাতে প্রাপ্য প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা কম পাচ্ছি দীর্ঘ ৫ বছর যাবত। কমিটি নাই অজুহাতে জানুয়ারী ২০১৭ ইং হতে বেতন-ভাতার সরকারি অংশ পাচ্ছি না। কলেজ অংশতো কখনো পাই নাই। ভুয়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, সম্প্রতি দাড়ি রেখেছে। ভুয়া অনুষ্ঠান করে সেখানে নিজে মোনাজাত করায় তার বাবার জন্য দোয়া চায়, আমি নিরব থাকি। সে ইচ্ছা করে স্ব-জ্ঞানে ভুয়া পদ ধারণ করে অবৈধ আয় করে নিচজর স্বার্থে আমাদের আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি করতেছে। এমতাবস্থায় তার নামাজ-ধর্ম-কর্ম ইত্যাদি আমার কাছে হাস্যকর ও লোক দেখানো মনে হয়, কারণ আমি তার অন্যায়-অনিয়ম সম্পর্কে তাকে অনকেবার বলেছি, এবং আমি যে তার কারণে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি সেই বিষয়েও ধর্মের আলোকে যতটুকু বুঝি তাকে বলেছি, তাকে অনেকবার বলেছি আমার একটাকা পরিমাণ হকও যদি তার কাছে পাওনা থাকে বা তার কারণে নষ্ট হয়, আমি কেয়ামতের দিন তা মহা বিচারক আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে নালিশ করবো, আমি তাকে ক্ষমা করবো না। এমতাস্থায় উক্ত ভুয়া পদবীধারী ভুয়া অধ্যক্ষের নামাজ, ধর্ম-কর্ম বিষয়ে ইসলাম ধর্ম মতে ব্যাখ্য ও আমার করণীয় বিষয়ে জানাল বাধিত হবো। মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরীমোবাইল নম্বর- ০১৫৫৪৩৪৩৮৯৫ عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.
আসসালামু আলাইকুম। হযরত আমি আমার বাসায় সখের বশে প্রথমে ১ জোড়া সাদা ইদুর লালন পালন করতাম। এখন তা বাচ্চা দিয়ে 5 জোড়া হয়েছে। আমার প্রশ্ন এই সাদা ইদুর পালন যায়েজ কি? এগুলো বিক্রয় যায়েয কি? উল্লেখ্য এই ইদুর থাকলে বাইট্টা ইদুর সহ অন্যান্য ইদুর ঘরে থাকে না। কারণ এই ইদুর অন্য গুলোকে বিড়ালের মত আক্রমন করে এবং এই সাদা ইদুরের গন্ধ অন্য ইদুররা সহ্য করতে পারে না। এতে ইদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর এই সাদা ইদুর সাধারণত কোন রোগ ছড়ায় না এবং অহেতুক কোন কিছু নষ্ট করে না। নিয়মিত সামান্য খাবার-পানি দিলেই চলে। আর ইদুর গুলোও শান্ত স্বভাবের হওয়াতে কোন রকম ক্ষতি হয় না। এখন এ ব্যাপারে মাসআলা জানতে চাই। عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.
আস্সালামু আলাইকুম,১। দাওয়াতুল হক এর মাসিক ইজতেমায় খাবার এর জন্য যারা টাকা দিয়ে থাকে তাদের টাকা হালাল না হারাম তা জানিনা এমন অবস্থায় কি খাবার খাওয়া যাবে ? ২। চিল্লায় সবার থেকে সমান টাকা নিয়ে বাজার করা হয়। সবার টাকা হালাল না হারাম তাও জানিনা এমন অবস্থায় করনীয় কি ?৩। একজনের টাকা যদি হারাম হয় তাহলে কি তা খাওয়া সবার জন্য হারাম হবে ? ৪। দাওয়াতুল হক এর খাবার না খেলেও চলবে, কিন্তু চিল্লায় গেলে উক্ত খাবার না খেয়ে অন্য কোন উপায়ও থাকে না। ৫। চিল্লায় যে টাকা দিয়ে বাজার করা হয় (ধরুন ১০০ টাকা) তা আমার ভাগেরটা দেওয়ার পর যদি আরও ১০০ টাকা গরিবকে দিয়ে দেই তাহলে কি হালাল হবে ? ৬। নাকি চিল্লায় যাওয়াই বাদ দিয়ে দিবো ?৭। উপরোক্ত বিষয়ে হারাম থেকে বাচার জন্য করনীয় কি ? عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.
হযরত অাসসালামু অালাইকুম। হযরত অাপনার একটি প্রশ্নত্তর দেখলাম যে, হারাম মাল দ্বারা তৈরিকৃত বাড়ি থেকে ভাড়া গ্রহন করা বৈধ কি? এর উত্তরে প্রায় সবই দান করে দিতে হবে। তাহলে তো বর্তমান জমানায় প্রায় সবাই এই সমস্যায় ভুক্ত ভুগী। তাহলেতো মোটামুটি সবাই নিঃশ হয়ে যাবে। যেমন আমার আব্বা ও অনেক সময় বিভিন্ন সমীতি থেকে টাকা এনেছেন আবার তা পরিশোধ ও করেছেন। এগুলোর হিসাবই বা করবো কিভাবে আর এগুলো বাদই বা দিবো কি ভাবে। তাহলেতো সব কিছু অনেক জটিল হয়ে গেল। জীবন যাপনই কষ্ট সাধ্য হয়ে যাবে। কারণ বাচ্চারা ছোট থাকতে বাবা মা না জেনে অনেক কিছু করে ফেলে বাচ্চারা যখন তার মালিক হয় তখন তার থেকে যদি সব দান করে দেয় তবে তার তো নিঃশ হতে হবে। তখন দেখা যাবে একসময় যে মানুষের মাঝে সচ্ছল ভাবে চলতো সে এখন যাকাতের জন্য বা অন্য কোন দান নেয়ার জন্য লাইনে দাড়াতে হবে। এগুলোর বিষয়ে কি কোন সহজ সমাধান নেই। কারণ জরুরতে তো এখন মসজিদে সি.সি টিভি লাগাচ্ছে, মাদ্রাসায় পর্যন্ত সি.সি টিভি আছে। এমন আরো বহু বিষয় আছে যা ইসলামে স্পষ্ট হারাম কিন্তু জরুরতের কারণে তা আবার যায়েজ ফতোয়া দেয়া হচ্ছে। যেমন আপনি নিজেই একটি প্রশ্নত্তরে মাজুর সাবস্ত হবে বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাহলে এগুলোর ব্যপারে কি কিছু করা যায় না। কারণ আপনি হয়তো ইসলামের আলোকে আমাকে বা অন্যকে সব দান করে দিতে বললেন কিন্তু যে দান করবে তার যদি বাবা এই বাড়ী ছাড়া আর কোন বাড়ী না থাকে তাহলে সে সেটা দান করে দিলে তো পরে ভাড়া থাকতে হবে। তাহলে আপনি মসজিদে সি.সি টিভির ব্যাপারেও এটাই ফসালা দিন যে, যে মসজিদে সি.সি টিভি থাকবে সেখানে নামাজ পড়া যাবে না। তাতে যা হয় হোক যদি মুসল্লি কম হয় হবে। অথবা পাসপোর্টে জন্য ছবি তোলা যাবে না এমন আরো বহু হুকুম আছে যা জরুরতে দোয়াই দিয়ে যায়েয করা হচ্ছে। আর এগুলোর ব্যাপারে মাজুর হলে এটার ব্যাপারে মাজুর হবে না কেন? বিষয়টি অাপনার সাথে শুধু পরামর্শ ও আলোচনার জন্য লিখলাম। অনুগ্রহ করে একটু ভেবে দেখবেন। আর অধমকে খারাপ মনে করবেন না কারণ মনে খটকা আসলে তা কোন আলেমের সাথে আলোচনা করা জরুরী তাই আপনার সাথে বিষয়টি আলোচনা করলাম। মেহেরবানী করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে যাযায়ে খায়ের দান করুন। عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.