سؤال : জনাব, আমরা জানি বিতর নামাযে দুআয়ে কুনূতের আগে তাকবীর ও হাত উঠাতে হয়। কিন্তু কেউ কেউ বলছে, এর কোন দলীল নেই। আশা করি দলীল জানাবেন। ধন্যবাদ

جواب :

বিতর নামাযের তৃতীয় রাকাআতে দুআ কুনূতের পূর্বে তাকবীর বলে হাত উঠিয়ে হাত বাধা সুন্নাত।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউস (রাঃ) বিতর নামাযের শেষ রাকাআতে কুনূতের জন্য তাকবীর বলে হাত উঠাতেন।–শরহু মুশকিলিল আছার ১১/৩৭৪; তাবারানী, আলমুজামুল কাবীর, হাদীস নং ৯১৯২; ইমাম বুখারী, জুযউ রাফয়িল ইদাইনি, হাদীস নং ১৬৩
এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউস (রাঃ) থেকে বিভিন্ন হাদীসের কিতাবে একাধিক সহীহ বর্ণনা রয়েছে। আর ইমাম বুখারীও (রহ:) একে সহীহ বলেছেন।
বিশিষ্ট তাবেঈ ইব্রাহীম নাখঈ থেকেও উক্ত বিষয়টি সহীহ সনদে বর্ণিত রয়েছে।–মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা নং ৭০২৩; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০০১; শরহু মাআনিল আছার, ১/৩৯১
অনুরূপভাবে হযরত উমর, আলী ও বারা ইবনে আযিব (রাঃ) থেকেও বিষয়টি বর্ণিত আছে। আর এটা স্পষ্ট যে, এসব বিষয় সাহাবায়ে কেরাম নিজ থেকে গবেষণা করে বলেননি। কেননা ইবাদতের ক্ষেত্রে গবেষণা করে কিছু বলা যায় না। তাই হুকুমের দিক দিয়ে মুহাদ্দিসীনে কেরামের নিকট এ ধরণের রেওয়াইয়েত মারফূ রেওয়ায়েতের অন্তর্ভুক্ত।
এজন্য উপরোক্ত রেওয়ায়েত উল্লেখ করার পর ইমাম তহাবী (রহঃ) বলেন-
এ থেকে বুঝা যায় হযরত আলী ও ইবনে মাসউস (রাঃ) এর কথা নিজ গবেষণাপ্রসূত নয়। কেননা ইবাদতের এ ধরণের বিষয়গুলো নিজ থেকে বলারও নয়। বরং এগুলো কেবল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে জেনেই বলা যায়”।–মুশকিলুল আছার ১১/৩৭৪

Loading