سؤال : আসসাামুয়ালাইকুম। আল্লাহ সাক্ষী আমি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে (সা:) অনেক ভালবাসি! তবুও মাঝে মাঝে কিছু প্রশ্ন মাথায় আসে যা আমি কখনও আনতে চাইনা। ভাইয়া কয়েকদিন যাবৎ এই প্রশ্ন টা মাথায় গুরপাক খাচ্ছে! কিন্তু এর উত্তর আমার অজানা।”আল্লাহ কেন আমাদের সৃষ্টি করলেন? আমরা কি তাকে বলেছিলাম আমাদের সৃষ্টি করতে? আর সৃষ্টি যখন করলেন-ই তখন আবার আমাদের অবাধ্য হওয়ার দরুন আমাদের শাস্তিই কেন দেয়া হবে? তিনিই আমাদের সৃষ্টি করে তিনিই আমাদের শাস্তিই দেবেন, এটা কি আমাদের প্রতি জুলুম করা হলো না?”প্লিজ উত্তরটা যত তাড়াতাড়ি পারেন দিন।আমার জন্য আমার রবের কাছে দুআ করবেন দয়া করে।

جواب :


আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহ সাক্ষী আমি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে (সা:) অনেক ভালবাসি! তবুও মাঝে মাঝে কিছু প্রশ্ন মাথায় আসে যা আমি কখনও আনতে চাই না। ভাইয়া কয়েকদিন যাবৎ এই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে! কিন্তু এর উত্তর আমার অজানা।”আল্লাহ কেন আমাদের সৃষ্টি করলেন? আমরা কি তাকে বলেছিলাম আমাদের সৃষ্টি করতে? আর সৃষ্টি যখন করলেন-ই তখন আবার আমাদের অবাধ্য হওয়ার দরুন আমাদের শাস্তিই কেন দেয়া হবে? তিনিই আমাদের সৃষ্টি করে তিনিই আমাদের শাস্তিই দেবেন, এটা কি আমাদের প্রতি জুলুম করা হলো না?”প্লিজ উত্তরটা যত তাড়াতাড়ি পারেন দিন।আমার জন্য আমার রবের কাছে দুআ করবেন দয়া করে।
ওয়া আলাইকুমুস সালাম
বিষয়টি এভাবে বুঝুন, আপনার দুটি গরু আর একটি হরিণ আছে। একটি গরু হাল চাষের জন্য। হাল চাষ করতে করতে তার গলায় কড়া পড়ে গিয়েছে। উপরন্ত কথা না শুনলে চাবুকের বাড়ি তো আছেই। অন্য গরুটি কুরবানীর জন্য। তাকে সুন্দর খাবার দিয়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে। অন্যদিকে হরিণটি আপনার খুব শখের। তাকে খুব দামি দামি খাবার দেওয়া হয়, সুন্দর জায়গায় রাখা হয়। খুব আদর যত্ন করা হয়। অথচ হরিণটি কোন কাজেই আসে না।
এখন হালের গরুটি যেমনিভাবে পিছনে চাবুকের বাড়ি খায় আর সামনে হালের বোঝা তো আছেই। অন্যদিকে তার খাবারও পর্যাপ্ত ও উন্নত নয়। সে চিন্তা করল আমি প্রতিদিন কত বাড়ি খাই, আবার আমার মাধ্যমেই মালিকের রিযিকের ব্যবস্থা হয়। এমনকি আমার চাষের ফসলের দ্বারাই কুরবানীর গরুটি কেনা হয়েছে। অথচ তাকে কত যত্নে রাখা হয়। কোন মারধর করা হয় না। খাবারও অনেক উন্নত, নিয়মিত গোসল করানো হয় ইত্যাদি।
এখন আপনিই বলুন ঐ হালের গরুর উক্ত আপত্তিটি কি ঠিক? মালিক বলবে আমি একে কিনেছি হাল চাষের জন্য আর ওকে কিনেছি কুরবানীর জন্য। আমার সম্পদ আমি যেভাবে ইচ্ছা ব্যয় করতে পারি। যে কাজে ইচ্ছা লাগাতে পারি। অতঃপর যখন কুরবানীর সময় এল আর কুরবানীর গরুটি তা বুঝল, তখন সে চিন্তা করবে আমাকে এতদিন ভালো খাইয়ে কি লাভ হল? হালের গরুটিকে তো ইনসাফ করা হল আর আমার প্রতি জুলুম করা হল।
এখন হালের গরু ভাবল, যাক কুরবানীর গরুর চেয়ে আমি অনেক ভালো আছি। কিন্তু এবার তার নজর পড়ল হরিণের দিকে। হরিণ তো মালিকের কোনই কাজে আসে না। অথচ তাকে কত সুন্দর খাবার দেওয়া হয়, কত সুন্দর স্থানে রাখা হয়।
এবার বলুন, এই আপত্তিটি কি ঠিক? মালিক বলবে আমি তাকে কিনেছি চোখ জুড়ানোর জন্য, আদর সোহাগের জন্য।
সারকথা, মালিক তার সম্পদকে যে কাজে ইচ্ছা ব্যয় করতে পারেন। এখানে অন্য কারো কোন আপত্তি চলবে না। অনুরূপভাবে আল্লাহ তাআলা এই জাহানের একচ্ছত্র মালিকের অধিকারী। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করবেন। আমি যেমনিভাবে আপনাকে বলতে পারি না আপনি অমুক জিনিস কেন কিনলেন বা বানালেন তেমনিভাবে আল্লাহ তাআলাকেও বলা যাবে না তিনি অমুক কেন সৃষ্টি করলেন। তিনি তার মালিকানায় যা ইচ্ছা করতে পারেন।
আপনি এ ধরণের অযাচিত প্রশ্নের ব্যাপারে করনীয় জানতে চাইলে নিম্নোক্ত লিঙ্কটি দেখতে পারেন-
http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=1354

Loading