(বাংলা) আসসালামু আলাইকুম। ২০১৫ সালের প্রথম দিকে পারিবারিক ভাবে একটা মেয়ের সাথে আমার কাবিন করে রাখা হয়। কাবিন করার ৪-৫ মাস পরে ইজাব কবুলের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়। ইজাব- কবুলের সময় আমার কিছু দেনমোহর বাকি ছিলো, বিয়ের অনুষ্ঠানে আমি এবং আমার স্ত্রী আলাদা ভাবে অনেক স্বর্ণালংকার উপহার হিসেবে পাই, আলাদা ভাবে। অতিথিদের কাছ হতে। আমার স্ত্রীর গুলো তার কাছেই থাকে এবং আমারগুলোও তাকে দিয়ে দেই দেনমোহর হিসেবে। আমার বাঁকি দেনমোহর এর চেয়ে যে স্বর্ণালংকার স্ত্রীকে দেই তার মূল্য অনেক বেশি ছিলো। বিয়ের কিছুদিন পরে ব্যবসায় লস এবং আমার মায়ের ক্যান্সারের কারনে আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়। তখন থেকে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে, আমাকে ছেড়ে দেবার জন্য, আমার স্ত্রীকে ত্যাজ্য করার হুমকি দেয়, এবং আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তারপরও আমার স্ত্রী আমার কাছেই থাকে। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের দাম্পত্য জীবন ছিলো, খুবই ভালোবাসাময়। কিছুদিন আগে আমার স্ত্রী তার বাড়ি যায়। কয়েক দিন পর শুনতে পাই, আমার স্ত্রী আমাকে তালাক দিয়েছে, কাবিননামার ১৮ নং ধারার ক্ষমতাবলে। আমি তালাকের নোটিশ পাইনি বা সই করিনি। কাবিনের সময় (ইজাব,কবুলের ৪/৫ মাস আগে), ১৮ নং ধারা সম্পর্কে কাজী সাহেব আমাকে কিছু বলেনি। আমি পরে শুনেছি, আমার স্ত্রী বা সাক্ষীরাও এ বিষয়ে কিছু শোনেনি। সম্ভবত কাজী সাহেব, পরে এটি পূরণ করে। আমার এক আলেম বন্ধু আমাকে বলে “”কাবিন করার সময় তোমার স্ত্রীর তুমি স্বামী ছিলে না, তাই তোমার নিজেরই, স্ত্রীকে তালাক দেবার অধিকার ছিলো না, তুমি তখন (ইজাব কবুলের ৫ মাস আগে) এই অধিকার তাকে দিলেও কাজ হতো না, আর তুমিতো জানোই না (তালাকের ক্ষমতা দেবার কথা), তাই তালাক হয়নি।””এই কথা, আমার স্ত্রীকে বললে, সে বলে “এক মৌলভীর কাছে সে শুনেছে, তালাক হয়ে গেছে।” এখন আমার প্রশ্ন ১। আমাদের কি তালাক হয়েছে? ২। আমার দেনমোহর কি আদায় হয়েছে? عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.
আসসালামুআলাইকুম, আমি তালাক সম্পর্কে শরীয়তের মাসালা জানতে চাই… প্রশ্নঃ কেই যদি বলে.. “( তাহলে আমি মনে মনে বললাম অামি যেই মেয়েকেই বিবাহ করব সেই তালাক তাহলে তো তালাক হবেনা)” ব্রাকেটর কথাটি বলার দ্বারা কি তালাক হবে? প্রশ্নঃ একদিন আমি মোনাজাতে দোয়া করছিলাম। এ সময় এ কথাটি (“আমি যেই মেয়েকেই বিবাহ করব সেই তালাক”) শব্দটি আমার মনে প্রবল ভাবে এসেছিল। দোয়া শেষ করার পর আমার মনে হচ্ছিলো আমি উক্ত শব্দটি বলে ফেলেছিলাম। একবার মনে হচ্ছে দোয়া করছিলাম আর একবার মনে হচ্ছিলো উক্ত বাক্যটি বলেছি। আমি সন্দিহান। এক্ষেএে সমাধান কি?? প্রশ্নঃ একদিন আমাদের হুজুরকে এভাবে জিজ্ঞাসা করেছিলাম (“আমি মনে মনে বললাম আমি যেই মেয়েকেই বিবাহ করব সেই তালাক বলেছিলাম এখন মাসালা কি “) এভাবে জিজ্ঞাসা করার দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে?? এভাবে জিজ্ঞাসা করার দ্বারা কি এই বাক্যটি “আমি যেই মেয়েকেই বিবাহ করব সেই তালাক”সত্যায়ন হবে?? প্রশ্নঃ ঘুমের ঘরে অথবা ঘুমের আমেজ থাকা অবস্থায় অথবা এমন অবস্থায় যে শরীর নিয়ন্ত্রণে নেই এক্ষেত্রে যদি বলে “আমি যেই মেয়েকেই বিবাহ করব সেই তালাক “তাহলে কি তালাক হবে?? প্রশ্নঃ একই বৈঠকে অথবা একই মজলিসে যদি বর কনেকে সাক্ষীদের সামনে বলে আমি তোমাকে বিবাহ করলাম আর কনে যদি বলে কবুল করলাম তাহলে তো বিবাহ হয়ে যায়। এভাবে বিবাহ হয়ে যাবার পর বর যদি কনেকে সাথে সাথে আবার এভাবে বলল আমি তোমাকে বিবাহ করলাম, কনে বলল আমি কবুল করলাম। এভাবে বরের দুই বার প্রস্তাব দেওয়া ও কনের এভাবে দুই বার কবুল বলায় বিবাহ কি দোহরানো হিসাবে গন্য হবে?? বিবাহ দোহরানোর এ পদ্ধতি কি সঠিক?? عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.
হুযুর আমি ১ তা মেয়ের সাথে প্রেম করতাম।আমরা ২ জনই চাইতাম যে এক জন আর এক জন কে বিয়ে করতে।সহবাস না হলেও আলিংগন এবং আর কিছু সম্পর্ক হয়েছে। এক পরজায়ে আমি তাকে এসএমএস এ কবুল বলতে বলি সে ও বলে। এখন আমি তওবা করে ঐই পথ থেকে সরে এসেছি। এখন প্রশ্ন হল১। আমাদের কি বিয়ে হয়েছে? আর যদি হয়ে থাকে তবে আমি কি শুধু তওবা করলেই গুনাহ মাফ হবে নাকি অন্য কোন উপায়ে কিছু করতে হবে? কেননে কোন ভাবেই আমরা বৈবাহিক জীবন যাপন করতে পারব না।দয়ে করে একটু তারাতারি জানাবেন। জাজাকাল্লাহু খাইরান عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.
জিনাকারী/সমকামী গুনাহকারী ব্যাক্তি যদি তওবা না করে পবিত্র নারীকে বিবাহ করে তার বিবাহ কি বৈধ হবে? এই ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলাম, আপনি উত্তর দিয়েছিলেন। এখন Islamqa.info নামের ওয়েবসাইট এ দেখলাম কেউ যদি তওবা না করে বিবাহ করে তার সে বিয়ে বৈধ হবে না। এই ব্যাপারে আপনার কাছ থেকে জানতে চাই বিষয় টা কি সঠিক? অনেক মানুষ এই সব গুনায় জড়িত এবং দ্বীনের বুঝ না থাকার কারণে তওবা না করে পবিত্র নারীকে বিয়ে করতেছে?এখন তাদের বিয়ে কি বৈধ হচ্ছে না। দয়া করে এই ব্যাপারে বিষয়টি যদি পরিষ্কার করে দিতেন? عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.
আসসালাম আলাইকুম হুজুর।হুজুর হুরমতে মুশাহারার ক্ষেত্রে বলা হয় যে যদি কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে তবে উষ্ণতা অনুভব না হতে হবে।এখানে উষ্ণতা দ্বারা কি শরীরের তাপমাত্রা উদ্দেশ্য?হুজুর দুইটি বা তিনটি কাপড় পড়লেও তো শরীরের তাপমাত্রা অনুভব হয়।আরেকটা প্রশ্ন সাধারন কাপড়ের উপর দিয়ে উত্তেজনার সাথে খালি হাতে স্পর্শের দ্বারা হুরমত সাব্যস্ত হয়? অথবা যদি মা ছেলে ঘেষাঘেষি করে বসে থাকে এবং উভয়ের মাঝে যদি দুইটি সাধারন কাপড়ের আবরন থাকে তখন কারো কামভাব আসলে কি হুরমত সাব্যস্ত হয়? عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.