سؤال : আসসালামু আলাইকুম।আমার বড় বোনের স্বামী মারা গিয়েছেন প্রায় ১৬ বৎসর (২০০৩)। উনার ৭ মেয়ে ও ২ ছেলে। বড় ছেলে বাদে সবাই বেশ অবস্থাপন্ন। আমার বোন আর বড় ভাগিনা (ডিভোসর্ড) এক সাথেই থাকেনে। ‍উনার ছোট ছেলে খুউব ভালো অবস্থানে থাকলেও পরিবারে তার কোন কনট্রিবউশন নাই। মেয়েরা অল্প কিছু করে সহায়তা করে। ভগ্নীপতির পেনশনের টাকা, ব্যাংকে ৮-১০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট থেকে আয়, ওয়ারিশ সূত্রে বাবার ব্যবসা থেকে কিছু আয় আর মেয়েদের দেয়া টাকা দিয়ে টেনে টুনে সংসার চলে। আগে বড় ভাগিনা আমাদের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলো, পরে কিছু ঝামেলা হওয়াতে সে ঢাকা ছেঢ়ে অন্যত্র চলে যায় (২০০২)। চলে যাওয়ার আগে আমাদেরকে না জানিয়েই আমাদের এক আত্মীয়ের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা ভালো লাভ দেবে বলে নেয়। কিন্তু টাউটের পাল্লায় পড়ে সে টাকা বেহাত হয়ে যায়। ঐ টাকা আত্মীয়-স্বজন মিলে যাকাতের টাকা থেকে পরিশোধ করে দেয়। পরে বন্ধুদের সাথে মিলে কিছু করার চেষ্টা করে সেখানেও ব্যর্থ হয়ে আবার ঢাকায় ফিরে আসে (২০০৪)। ২০০৬ সাল নাগাদ আমরা তার কাছ থেকে জানি, সে খুব ভালো একটা চাকুরী করে। ২/৩ টা ক্রেডিট কার্ড সে মেইনটেইন করে। ২০১৪/১৫ সাল নাগাদ আবার শুনি সে ক্রেডিট কার্ড ডিফল্টার এবং এটা নিয়ে খুউব ঝামেলা যাচ্ছে। এখন আমার বড় বোন এই লোন শোধ করার জন্য সবাইকে ধরেছে। প্রয়োজনে উনার যাকাতের টাকা নিতেও আপত্তি নেই। এখানে উল্লেখ্য যে, আমার বড় ভাগিনা খু্বই উচ্চভিলাষী এবং লোক দেখাতে সে খুব পছন্দ করে। এদিকে বাসায় বাজার করার টাকা নেই – ঐদিকে সে ক্রেডিট কার্ড চার্জ করে ব্রান্ডের জামা-কাপড় কেনে। তার যে কতো জামা-কাপড়-জুতা (নামী দামী ব্রান্ডের) – তা আমার আপাও বলতে পারবেন না।এখন আমার প্রশ্ন হলো, এই ভাগিনাকে কি যাকাতের টাকা দেয়া যাবে?

جواب :

عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.