প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, একজনের সাথে দ্বীনের বিষয়ে কথা বলতে বলতে সে বলল যে, কুরআনে আছে- তোমরা জানা সত্ত্বেও সত্যকে গোপন করো না। আর হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি অন্যের দোষ গোপন করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তার দোষ গোপন রাখবেন। পরে আমি চুপ হয়ে গেলাম, কারণ আমি উক্ত আয়াত এবং হাদিস এর উদ্দেশ্য জানি না। এখন প্রশ্ন হলো- উক্ত হাদীসটা কি জাল/যঈফ ? দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

কুরআনুল কারীমে যে সকল আয়াতে (সূরা বাকারাহ, আয়াত ৪২, ১৪৬, ১৫৯, ১৭৪, ২৮৩; সূরা আল ইমরান, আয়াত ৭১, ১৮৭) সত্য গোপন রাখার ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তা ঐ সকল আহলে কিতাবদের ব্যপারে যারা তাদের কিতাবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সর্বশেষ নবী হিসেবে আগমনের সত্যায়নকে জেনে শুনে অস্বীকার করত। কুরআন মানুষকে সকল প্রকার সত্যকে প্রকাশ করার কথা কোথাও বলেনি।বরং মানুষের দোষ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য জোর তাকীদ এসেছে। এজন্যই গীবত (অপরের দোষ চর্চা) করার ব্যপারে কুরআনে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আল্লাহ্‌ তাআলা ইরশাদ করেন “তোমাদের কেউ যেন অপরের দোষ চর্চা না করে”।(সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২)

কাজেই সর্বদা সত্য কথা প্রকাশ করতে হবে এটা তো ঠিকই আছে তবে তা অপরের দোষ না হওয়া চাই। আর উক্ত হাদীসটি সম্পূর্ণ সহীহ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন “কেউ দুনিয়াতে অপরের দোষ গোপন রাখলে আল্লাহ্‌ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন”।–সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৭৬০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৭৯৪২।

Loading