প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১। জামাআতে নামায শেষ করে নাকি উচ্চস্বরে আল্লাহু আকবার বলতে হয়, এটা কি সুন্নাত? কিন্তু আমি ঢাকার কোন মসজিদেই উচ্চস্বরে আল্লাহু আকবার বলতে দেখিনি। তাহলে এই সুন্নত বিলুপ্ত হয়ে গেল নাকি হাদীসটি জাল? ২। দুই সিজদার মাঝখানের দুআ “রব্বিগফিরলী রব্বিগফিরলী” এটা কয়বার পড়তে হবে? এখানে তো দুইবার আছে আরও একবার বাড়িয়ে তিনবার পড়বো? ৩। তাশাহহুদ পড়ে উঠার সময় দুই হাত রানের উপর ভর দিয়ে উঠবো নাকি ফ্লোরের উপর ভর দিয়ে উঠবো?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। না জাল নয়, উক্ত হাদীসটি ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত তবে হাদীসটি আইয়ামে তাশরীকের দিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যখন প্রত্যেক নামাযের পর উচ্চস্বরে তাকবীর বলতে হয়। অথবা তাকবীর বলতে নামাযের অভ্যন্তরের তাকবীর উদ্দেশ্য। অর্থাৎ তিনি যেহেতু ছোট ছিলেন তাই পিছনের দিকে দাঁড়াতেন। অতঃপর যখন পর্যায়ক্রমে নামাযের তাকবীরগুলো শেষ হত তখন তিনি বুঝতেন নামায শেষ হয়ে গিয়েছে। অথবা তাকবীর দ্বারা তাসবীহে ফাতেমী উদ্দেশ্য। অথবা তাকবীর বলতে এখানে যে কোন যিকির উদ্দেশ্য। যেমন ইস্তেগফার ইত্যাদি। যেটা খোদ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর অন্য একটি বর্ণনা দ্বারাও বুঝে আসে।

সারকথা ফরজ নামাযের পরে উচ্চস্বরে তাকবীর বলা সুন্নাত নয়। অন্যান্য একাধিক সহীহ হাদীসের সাথে সমন্বয়ের কারনে ইমামগণের কেউই এমনটি বলেননি।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৮৪১, ৮৪২; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১০০৪; সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১৩৩৪; ফয়জুল বারী ১/১০৬(শামেলা); বাজলুল মাজহুদ ৫/৩৪৩,৩৪৪; ফাতহুল বারী ২/৩২৬; ইমাম নববী, শরহে মুসলিম, ৫/৯১

২। হাদীস শরীফে উক্ত দুআটি দুইবারের কথাই এসেছে। অন্য হাদীছে নিম্নোক্ত দুআটির কথাও এসেছে। চাইলে এটিও পড়তে পারেন।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى وَارْحَمْنِى وَعَافِنِى وَاهْدِنِى وَارْزُقْنِى
-সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮৫০; সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১১৪৪

৩। রানে ভর দিয়ে উঠবেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কোমর বাঁকা না হয়।–সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৯০২; রদ্দুল মুহতার ১/৪৭৩; আহসানুল ফাতাওয়া ৩/৪৫

Loading