প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। ১। কোন মেয়ের হায়েয কোন মাসে ৬ দিন, কোন মাসে ১০ দিন আবার কোন মাসে ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয়। এমতাবস্থায় যেই মাসে ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয় সেই মাসে হায়েয হিসেবে কতদিন গণনা করবে? ৬ দিন নাকি ১০ দিন? ২। ১০ দিনের বেশি রক্ত জারী থাকা অবস্থায় নামায পড়ার ক্ষেত্রে প্রতি ওয়াক্তেই কি তাকে আলাদা কাপড়/ন্যাপকিন বেঁধে নিতে হবে? ৩। পরপর কয়েক মাস ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হলে তার জন্য চিকিৎসা নেওয়া কি জরুরী?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

১। তার অভ্যাস কত দিন? এটা জানার পরে উত্তর দেওয়া হবে ইংশাআল্লাহ।

২। নির্ধারিত অভ্যাসের চেয়ে বেশি রক্ত জারী হওয়াকে ইস্তেহাযা বলে। এ অবস্থায় নামায রোযা চালিয়ে যেতে হয়।

ইস্তেহাযা হলে প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য নতুন করে উযূ করতে হয়। আর কাপড়ের ক্ষেত্রে হুকুম হল, যদি সে নিশ্চিত হয় যে, কাপড় পরিবর্তন করে বা ধৌত করে নামায শুরু করলে নামায শেষ হওয়ার পূর্বে পূনরায় কাপড় নাপাক হবে না তবে তা পরিবর্তন করা বা ধৌত করা জরুরী। আর কাপড় নাপাক হয়ে যাওয়ার আশংকা হলে পরিবর্তন বা ধৌত করা জরুরী নয়।–রদ্দুল মুহতার ১/২৮১, ২৮২; আহসানুল ফাতাওয়া ২/৭৫, ৭৬

৩। ফরজ তো নয় তবে উচিত এবং উত্তম। কেননা এতে ইবাদাত বন্দেগীসহ অনেক ক্ষেত্রে পেরেশানির শিকার হতে হয়।

Loading