প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, http://www.darsemansoor.com/books/ কবীরা-গুনাহের-বিবরণ/ উপরোক্ত মুফতী মনসূরুল হক (দা:বা:) এর ওয়েবসাইটে কবীরা গুনাহের বিবরণের মধ্যে ৬৬ নং ক্রমিকে উল্লেখ আছে যে- “পেশাদার ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়া”। ১. যারা প্রতিবন্ধি অথবা অন্ধ, হাত-পা কাটা তাদের পেশাও ভিক্ষা (ভিক্ষা ছাড়া তাদের কোন উপায়ও নাই) তাদেরকেও কি ভিক্ষা দিলে কবীরা গুনাহ হবে? ২. ভিক্ষা দিতে যেয়েও যদি কবিরা গুনাহ হয় তাহলে তো ভিক্ষা না দেয়াই ভালো। ঢাকার শহরে যতজনেই ভিক্ষা চায় তাদের (দুই একজন বাদে) সবাইর পেশাই তো ভিক্ষা। তাহলে কি সতর্কতার জন্য এখন থেকে ভিক্ষা দেয়া বন্ধ করে দিবো? ৩. একটি হাদীসে দেখেছিলামে যে যদি কোন ব্যক্তি উটের পিঠে করে এসেও ভিক্ষা চায় তাহলেও তাকে ফিরিয়ে দিও না। তাই আমি নিয়ত করেছিলাম যে এখন থেকে সব ভিক্ষুককেই কিছু হলেও দিবো, কিন্তু উপরোক্ত বিষয় জানার পর থেকে বিরত রয়েছি।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১+২+৩। আসলে এখানে পেশাদার ভিক্ষুক বলতে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে যারা অর্থ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও পেশা হিসেবে ভিক্ষা করে। অর্থাৎ জরুরতের কারণে ভিক্ষা করে না। এমন ব্যক্তির জন্য ভিক্ষা চাওয়া ও তাকে জেনেশুনে ভিক্ষা দেওয়া কোনটিই জায়েয নেই। কাজেই যদি কারো ব্যাপারে জানা যায় যে, সে পেশাদার ভিক্ষুক তবে তাকে দেওয়া যাবে না। কিন্তু রাস্তাঘাটে চলার সময় এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বুঝা মুশকিল। আবার হাদীস শরীফে মুমিনের প্রতি ভালো ধারণা পোষণ করতে বলা হয়েছে। তাই কারো অবস্থা জানা না গেলে তার বাহ্যিক অবস্থার দরুন তার প্রতি ভালো ধারণা পোষণ করত তাকে কিছু দিতে কোন অসুবিধা নেই। কেননা এটাই স্বাভাবিক যে, সে একান্ত অপারগতার দরুন হাত পেতেছে। অনুরূপভাবে যে বাস্তবে প্রতিবন্ধী যেমন কারো দুটি হাত নেই বা পা নেই বা পঙ্গু অথবা অন্ধ এদেরকেও তাদের বাহ্যিক অবস্থার প্রতি খেয়াল করে দিতে কোন অসুবিধা নেই। তবে যাকাত, ফেতরা ইত্যাদি একটু যাচাই বাছাই করে দেওয়া উচিত। অর্থাৎ গ্রহীতা আসলেই এর উপযুক্ত কিনা তা একটু বুঝে শুনে দেওয়া উচিত।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৬৩৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১৮৩৮

Loading