প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, হযরত, আমার সাথে এক খ্রিস্টান কাফেরের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক, সে আরেকজনের কাছ থেকে আমার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে তাকে আবার সে টাকা তার দেশে ফেরত দিতে বলে। অর্থাৎ আমার কাছে টাকা পাঠায় আমাদের দেশের একজন কিন্তু আমাকে আবার টাকা পাঠাতে হয় বিদেশে একজন এর কাছে। আমার মনে হচ্ছে সে আমাকে দিয়ে অর্থপাচার করাতে চাচ্ছে তাই আমি টাকাটা তাকে ফেরত পাঠাতে চাচ্ছি না। যদি পাঠাই তাহলে সে আবার এরকম করবে। এখন এই টাকাটা যেহেতু একজন কাফিরের সেহেতু এই টাকা দিয়ে আমি কোনো দানও করতে পারবো না। আমি এখন এই টাকাটা খেয়ে ফেললে আমার কি কোনো গুণাহ হবে? হাশরের ময়দানে পাওনাদার তো দেনাদারকে আটকে দিয়ে সওয়াব নিয়ে যাবে, কিন্তু এই ব্যক্তি তো কাফের। সে কি আমাকে আটকাতে পারবে? আর সে যদিও আটকায় তাহলে আমার সওয়াব নিয়ে সে কি করবে? আমাকে সঠিক কোনো উপায় বলে দিন। আমি টাকাটা ফেরত পাঠাতে পারবো না।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
উক্ত টাকা আপনার জন্য ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম। তা তার মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া জরুরী। আপনার কোন সন্দেহ থাকলে আপনি পরবর্তীতে তার সাথে এ ধরণের লেনদেন আর করবেন না। তাকে বলে দিবেন আমি তোমাকে আর টাকা পাঠাতে পারবো না। কিন্তু তাই বলে এ টাকা আপনার জন্য ব্যবহার করা বৈধ হবে না।
আপনার প্রশ্নের বিবরণ দেখে মনে হয় কাফেরদেরকে অযথা কষ্ট দেওয়া জায়েয। আসলেই কি ইসলাম এমন শিক্ষা দেয়? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি কখনো কোন কাফেরের মাল অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করেছেন? কাফেরের নেকি কোন কাজে আসবে না কিন্তু তার সাথে কেউ অন্যায় করলে তার বিচার তো হবে। এমনকি কোন জন্তু বা প্রাণী অন্য কোন প্রাণীকে কষ্ট দিলে তার বিচারও করা হবে। তাহলে মানুষের ক্ষেত্রে কেমন হবে? তাই আপনি উক্ত টাকা তাকে বৈধ পন্থায় ফেরত দিন এবং ভবিষ্যতে এমনটি করতে বারণ করে দিন।

Loading