প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। ১.ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠে অযু করে এসে যদি দেখি সূর্যোদয় হতে আর ৩/৪ মিনিট সময় আছে তাহলে কী করব? সুন্নত পড়তে গেলে ফরজ ছুটে যাবে, আর ফরজ পড়তে চাইলে সুন্নত ছেড়ে দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে করণীয় কী? ২. রাতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিতরের সালাত পড়িনি। পরে পড়ব, এ রকম ভেবে ঘুমিয়ে পড়েছি। ঘুম থেকে উঠে যদি দেখি সূর্যোদয় হতে যেই সময় আছে তাতে শুধু ফজরের সালাত পড়া যাবে। বিতরের সলাত কাযা পড়তে গেলে ফজর ছুটে যাবে। এমতাবস্থায় কী করবো? ৩. রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এশার পর তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যেতে। যাতে ফজরের সালাত কাযা না হয়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের সমাজের সিস্টেম এ রকম হয়ে গেছে যে, রাত ১২ টা ১ টার আগে আমরা ঘুমাই না বা বিভিন্ন কাজের কারণে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে পারি না। যার দরুণ মাঝে মাঝে ফজরের সময় উঠতে পারি না। এখন প্রশ্ন হল, ইচ্ছাকৃত এভাবে দেরিতে ঘুমানোর কারণে যদি ফজরের সময় উঠতে না পারি তাহলে কি ইচ্ছাকৃত নামায ছেড়ে দেওয়ার গুনাহ হবে? নাকি আমরা ওই হাদীসের আওতায় পড়ব, “যদি কেউ ঘুমিয়ে থাকে বা নামাযের কথা স্বরণে না থাকে…..”

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

১। এমতাবস্থায় সুন্নত ছেড়ে দিয়ে ফরজ পড়বেন।

২। ফজরের ফরজ পড়বেন। বিতির পরে ক্বাযা করে নিবেন।

৩। প্রিয় দ্বীনী ভাই, আল্লাহ তাআলার নিকট কি এই সমাজের সিস্টেমের ওযরখাহী করে পার পাওয়া যাবে? নিজেকে সংশোধন করে নিলেই তো সমাজের দায় এড়ানো যায়। দেরি করে ঘুমানোর কারনে যদি প্রায়ই নামায ক্বাযা হতে থাকে তবে তা তো অনেকটা ইচ্ছাকৃত নামায ছেড়ে দেওয়ার মতই। তাই তাড়াতাড়ি বিছানায় যাওয়ার অভ্যাস করুন। রাতে কোন কাজ থাকলে তা সকালে করার চেষ্টা করুন। আর মোবাইল বা ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে একটু দূরে রাখুন।

আর উক্ত হাদীস তো তার জন্য, যে ঘুম থেকে উঠার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার পরেও উঠতে পারেনি। আর যে নিয়মিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের বিপরীতে দেরিতে ঘুমানোর কারনে ফজরের নামায পড়তে পারে না তার জন্য উক্ত হাদীসে কোন সান্তনা নেই। বরং তার সতর্ক হওয়া এবং তাড়াতাড়ি ঘুমানোর ব্যবস্থা করা জরুরী।

Loading