মাসআলাঃ ছাগল,ভেড়া ও দুম্বা একাধিক ব্যক্তির নামে কুরবানী হতে পারে না। বরং এগুলোর কোন একটি কেবল একজনের নামে কুরবানী হতে পারে।- বাদায়েউস সানায়ে-৪/২০৭

মাসআলাঃ উট,গরু ও মহিষে সর্বোচ্চ সাতজন শরীক হতে পারে। সাতের অধিক শরীক হলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭
মাসআলাঃ উট,গরু ও মহিষে সাত ভাগ এবং সাতের কম জোড় বা বিজোড় যে কোন সংখ্যক ( যেমন দুই,তিন,চার,পাঁচ,ও ছয়) ভাগ হতে পারে।- প্রাগুক্ত
মাসআলাঃ সাত ভাগে কুরবানী করলে সরার ভাগ সমান হতে হবে। কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। যেমন কারো আধা ভাগ কারো দেড় ভাগ এমন হলে কারো কুরবানীই সহীহ হবে না।- প্রাগুক্ত
মাসআলাঃ গরু,মহিষ ও উটে কয়েকজন মিলে শরীক হয়ে কুরবানী করলে সকল শরীকের নিয়ত সহীহ তথা আল্লাহকে সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হতে হবে। যদি কোন একজন শরীকেরও গলদ নিয়ত থাকে যেমন লোক দেখানোর জন্য কুরবানী করা,গোশত খাওয়ার জন্য কুরবানী করা ইত্যাদি তবে করো কুরবানী সহীহ হবে না। তাই শরীক নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুব সতর্কতার সাথে নির্বাচন করতে হবে।- বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮
মাসআলাঃ যদি কোন শরীকের পূরো বা অধিকাংশ উপর্জন হারাম হয় অথবা কেউ হারাম উপার্জন দ্বারা শরীক হয় তাহলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না।
মাসআলাঃ কোন ধনী ব্যক্তি যদি গরু,মহিষ বা উট একা কুরবানীর দেওয়ার নিয়তে কিনে তাহলে সে ইচ্ছা করলে পরবর্তীতে অন্যকে শরীক করতে পারবে। অবশ্য এক্ষেত্রে অন্যকে শরীক না করা উত্তম। আর যদি ঐ ব্যক্তি গরীব হয় অর্থাৎ তার উপর কুরবানী ওয়াজিব না হয় তবে সে কাউকে শরীক করতে পারবে না। গরীব লোক কাউকে শরীক করতে চাইলে পশু ক্রয়ের সময় শরীকের নিয়ত করবে।- বাদায়েউস সানায়ে-৪/২১০
মাসআলাঃ কুরবানীর পূর্বে কোন শরীকের মৃত্যু হলে তার ওয়ারিসরা যদি মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানীর অনুমতি দেয় তবে তা জায়েয হবে। অন্যথায় ঐ শরীকের টাকা ফেরত দিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে তার স্থলে অন্য কাউকে শরীক করা যবে। -আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৬
মাসআলাঃ শরীক হয়ে কুরবানী করলে গোশত আন্দাজে ভাগ করবে না। এটা জায়েয নয়।পাল্লা দিয়ে মেপে নিবে। তবে যে ভাগে পা বা মাথা ইত্যাদি থাকে সে ভাগে গোশত কম দিতে সমস্যা নেই। -আদ্দুররুল মুখতার-৬/৩১৭

Loading