প্রশ্ন : মসজিদ-মাদরাসায় নেগরানীর উদ্দেশ্যে ইদানিং সিসি টিভির ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এর ব্যবহার জায়েয কিনা? এর উত্তরে দারুল উলুম দেওবন্দ সম্প্রতি একটি ফতোয়া প্রকাশ করেছে। ফতোয়ায় বলা হয়, ইসলামী শরীয়া মোতাবেক ছবি তোলা হারাম এবং পাপের কাজ। হাদীসের গ্রন্থগুলোতে এ ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু অঅলাইহি ওয়া সাল্লামের কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া আকাবিরে দেওবন্দের ফতোয়া অনুসারে ডিজিটাল ছবিও এ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ, স্টিল ছবি বা ভিডিও ধারণকৃত ছবি; উভয়ই ইসলামে নিষিদ্ধ। আর সিসি টিভি ক্যামেরাতে ভিডিও ধারণ করা হয়ে থাকে। এ কারণে সেটাও নিষিদ্ধ। কারণ, সিসি টিভির মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে দিয়ে অতিবাহিত প্রত্যেক ব্যক্তির ছবি তার রেকর্ডে চলে আসে। সিসি টিভি লাগানোর মাধ্যমে প্রতিদিন হাজারো মানুষের ছবি তাতে ধারণ হয়ে থাকে। আর কোন হারাম কাজ সহীহ হওয়ার জন্য শরীয়ত যে সমস্ত জরুরত ও অপারগতা নির্ধারণ করে তা সিসি টিভির মধ্যে পাওয়া যায় না। সুতরাং মসজিদ হোক কিংবা মাদরাসা; পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে সিসি ক্যামেরা লাগানো জায়েজ নয়। লেখক-আওয়ার ইসলাম। এ ব্যাপারে আপনার মতামত চাই।

উত্তর :

ডিজিটাল ফটোগ্রাফি বর্তমানে একটি মতবিরোধপূর্ণ মাসআলায় রূপ নিয়েছে। উপমহাদেশের অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম এখনো তা নাজায়েয মনে করেন। সেমতে তা ব্যবহারের সুযোগ নেই। অবশ্য যারা ডিজিটাল ফটোগ্রাফিকে নাজায়েয বলেন তাদের অনেকেই লাইভ বা সরাসরি সম্প্রচারকে জায়েয বলেন, যদি তা সেভ বা সংরক্ষণ না করা থাকে। আর এটাও যেহেতু লাইভ বা সরাসরি সম্প্রচার তাই সেভ বা সংরক্ষণ না করা হলে তাদের মতে জায়েয হবে।
তবে বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য উলামায়ে কেরাম তা জায়েয মনে করেন। যার মধ্যে বিশ্ববিখ্যাত আলেমে দ্বীন শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী সাহেব অন্যতম। তাদের মতে এর ব্যবহার বৈধ।
আমার ব্যক্তিগত মত হল, এগুলো মসজিদ মাদ্রাসায় ব্যবহার না করাই উচিত।

Loading