মাসআলাঃ কুরবানীর পশু কেনার পর বা নির্ধারিত করার পর তা থেকে কোন ভবে উপকৃত হওয়া জায়েয নেই। যেমন মাল টানানো বা বহন করানো,হাল চাষ করা,আরোহন করা ইত্যাদি। এগুলে সব নাজায়েয। কেউ যদি কুরবানীর পশু থেকে উপকৃত হয় তবে উপকারের বিনিময় (যেমন হাল চাষ বা বোঝা বহনের মূল্য ) ছদকাহ করে দিবে।- ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০০

মাসআলাঃ কুরবানীর পশুর দুধ পান করা জায়েয নয়। যদি কুরবানীর সময় নিকটবর্তী হয় এবং দুধ দোহন না করলে পশুর কষ্ট হবে না বলে মনে হয় তবে দুধ দোহন করবে না। অবশ্য ওলানে ঠান্ডাপানি ছিটিয়ে দিলে দুধের চাপ কমে যায় এবং কষ্ট লাঘব হয়। যদি দুধ দোহন করে ফেলে তবে তার মূল্য ছদকাহ করবে।- ফাতাওয়া হিন্দীয়া ৫/৩০১
মাসআলাঃকুরবানীর পশুর পোশাক (যদি থাকে ),দড়ি ইত্যাদি ছদকাহ করে দিবে। নিজের কাজে ব্যবহার করবে না।
মাসআলাঃ কুবানীর পশুর বাচ্চা হলে তা জবাই না করে জীবিত ছদকাহ করা উত্তম। জীবিত ছদকাহ না করলে বাচ্চাকেও জবাই করবে এবং বাচ্চার গোশত ছদকাহ করে দিবে।-রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬

Loading