১। সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা।
ফযীলতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিনে সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে আল্লাহ তাআলা তাকে পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত নূরের দ্বারা নূরান্নিত করে দিবেন।–সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ৬২০৯
২। যে ব্যক্তি জুমআর দিন নিম্নোক্ত ৬ টি আমল করবে-
ক. ভালো ভাবে গোসল করবে।
খ. আউয়াল ওয়াক্তে (অর্থাৎ ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথে) মসজিদে আসবে।
গ. ছাওয়ারীতে আরোহন না করে পায়ে হেটে মসজিদে আসবে।
ঘ. খতীবের নিকটবর্তী বসবে।
ঙ. উভয় খুৎবা মনোযোগ সহকারে শুনবে।
চ. খুৎবার সময় কোন বেহুদা কথা বা কাজ করবে না।
তার প্রতিটি কদমে এক বছর নফল নামায ও এক বছর নফল রোযার ছাওয়াব অর্জন হবে।- সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৪৫।
ওলামায়ে কেরাম বলেছেন অন্য কোন সহীহ হাদীসে এত অল্প আমলে অধিক পরিমানে ছাওয়াবের কথা পাওয়া যায় না।-(মিরকাতুল মাফাতীহ ৫/৬৮)
৩। ভালভাবে গোসল করে সুগন্ধি মেখে মসজিদে এসে মনযোগের সাথে খুতবা শ্রবন করা।-সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৮৮৩
৪। উত্তম কাপড় পরিধান করে জুমআর নামাযে আসা।- সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৮৮৬
৫। দুই খুৎবার মাঝে যখন ইমাম বসে তখন দুআ করলে তা কবূল করা হয়। তবে এ সময় জিহবা দ্বারা দুআ করবে না বরং মনে মনে করবে।- ফাতহুল বারী ২/৫২৮; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৫৪
৬। এ দিনে অন্য দিনের তুলনায় বেশী বেশী দুরূদ শরীফ পড়া।- সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১০৮৯
৭। আসরের নামাযের পর ৮০ বার এই দুরূদ শরীফ পড়া-
اللهم صل عل محمد النبي الامي و علي اله و سلم تسليما
যে ব্যক্তি জুমআর দিন আসরের নামাযের পর উক্ত দুরূদটি ৮০ বার পাঠ করবে আল্লাহ তাআলা তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। এবং ৮০ বছর ইবাদত করার ছাওয়াব লিখে দিবেন।- আল-ক্বওলুল বাদী ২৮৪
৮। হাদীস শরীফে আছে জুমআর দিন এমন একটি সময় আছে বান্দা ঐ সময় যা-ই দুআ করে আল্লাহ তাআলা তা কবুল করে নেন। আর তা হল মাগরিবের কিছু সময় পূর্বে।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১০৫০; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৯৩৫
৯। জুমআর দিন জুমআর নামাযের জন্য যে যত তাড়াতাড়ি মসজিদে আসবে সে তত বেশী ছাওয়াব পাবে। সর্ব প্রথম যে মসজিদে আসবে সে একটি উট ছদকার ছাওয়াব পাবে। তার পর যে আসবে সে একটি গাভী ছদকার তার পরের জন একটি দুম্বা ছদকার তার পরের জন একটি মুরগী ছদকার এবং তার পরের জন একটি ডিম ছদকার ছাওয়াব পাবে। -সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৮৮২
মাসআলাঃ জুমআর নামাযের প্রথম আযানের সাথে সাথে মসজিদে রওয়ানা হওয়া বা প্রস্তুতি নেওয়া জরুরী। প্রথম আযানের পর সকল প্রকার দুনিয়াবী কাজ এমন কি ঘরে বসে নফল নামায না তিলাওয়াত সবই নিষিদ্ধ। অথচ এব্যপারে আম (সাধারন) ও খাস (বিশেষ) সর্ব প্রকার মানুষের উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়। অধিকাংশ মানুষ খুৎবা শুরু হওয়ার মুহুর্তে বা নামাযের মুহুর্তে এসে থাকে। যা পরিহার করা জরুরী।-সূরা জুমআ, আয়াত ৯; হিদায়া ১/ ২২৩

Loading