১। পায়ের আঙ্গুলগুলো পরিপূর্ণ কিবলামুখী করে রাখা। (এটা তখনই সম্ভব যখন উভয় পা সমান্তরাল তথা সমনে -পিছনে সমান ফাঁক থাকবে)। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৬৬৬৭; সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১০৫২)
এক্ষেত্রে আদব হল উভয় পায়ের মাঝে হাতের চার আঙ্গুল বা সর্বোচ্চ এক বিঘত পরিমান ফাঁক রাখা। {রদ্দুল মুহতার ১/১৩১ (যাকারিয়া)}
২। তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় মাথা না ঝুঁকানো। বরং কিবলামুখী হয়ে সিজদার স্থানে নযর রেখে দাঁড়ান। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস ৩০৪; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং ৩০১২; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ৩৬৮৬; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৭১(যাকারিয়া)}
৩। উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানো যাতে বৃদ্ধাঙ্গুলি কানের লতি বরাবর পৌঁছে যায়। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৯১; সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৮৮১)
৪। হাত উঠানোর সময় হাতের তালু ও আঙ্গুল সমূহের পেট কিবলামুখী করে রাখা। (সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ২৪১৩;তাবারানী, আল মু’জামুল আউসাত, হাদীস নং ৭৮০১)
৫। হাত উঠানোর সময় আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিকভাবে রাখা। একেবারে মিলিয়ে না রাখা বা একেবারে ফাঁক করে না রাখা। (সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং ৪৫৯; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ১৪১০; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং ৮৫৬)
৬। ইমামের তাকবীরে তহরীমা শেষ হওয়ার সাথে সাথে মুক্তাদীর তাকবীরে তাহরীমা বলা। মুক্তাদীর তাকবীরে তাহরীমা ইমামের পূর্বে শেষ হয়ে গেলে মুক্তাদীর নামায সহীহ হবে না। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৩৭৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৬২)
৭। ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর রেখে হাত বাঁধা। (সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১২৬৪; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ২৫২)
৮। ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্ঠাঙ্গুলি দ্বারা গোলাকার বৃত্ত বানিয়ে বাম হাতের কব্জি ধরা। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৭২৬; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং ২৭২; আল-বাহরুর রায়েক ১/৫৩৮)
৯। অবশিষ্ট তিন আঙ্গুল বাম হাতের বাহুর উপর স্বাভাবিকভাবে বিছিয়ে রাখা। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৮১১; ফাতহুল ক্বদীর ১/২৫০)
১০। নাভীর নীচে হাত বাঁধা। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৭৫৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৮৭৫)
১১। ছানা পড়া। (সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৮৯৮; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ২৪৩)

Loading