১। পূর্ন সূরা ফাতিহা পড়া। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯০০; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৭৫৬)
২। সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা বা ছোট তিন আয়াত পরিমান মিলানো। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৭৬২; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮২০)
৩। ফরজ নামাযের প্রথম দুই রাকাআতকে ক্বিরাআতের জন্য নির্দিষ্ট করা। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৭৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২২৬১৭)
৪। সূরা ফাতিহাকে অন্য সূরার পূর্বে পড়া। (সহীহুল বূখারী, হাদীস নং ৭৫৯; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৭৮২)
৫। নামাযের সকল রোকন ধীর-স্থিরভাবে আদায় করা। অর্থাৎ রুকু, সিজদা, ক্বওমাহ (রুকু থেকে দাঁড়িয়ে) এবং জলসায় (দুই সিজদার মাঝে) কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমাণ অপেক্ষা করা। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৭৫৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯১১)
৬। প্রথম বৈঠক করা। অর্থাৎ তিন বা চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাযে দ্বিতীয় রাকাআতে বসা। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৯৬৫; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ৩০১৭)
৭। উভয় বৈঠকে তাশাহহুদ তথা আত্তহিয়্যাতু পড়া। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৮৩০, ৮৩১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯২৪; সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১১৬২)
৮। প্রত্যেক রাকাআতের ফরজ ও ওয়াজিব গুলোর তারতীব ঠিক রাখা। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৬২৫১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯১১)
৯। ফরজ ও ওয়াজিব গুলোকে নিজ নিজ স্থানে আদায় করা। (যেমন দ্বিতীয় সিজদা প্রথম সিজদার সাথে করা)। (সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১০৫২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৮৯; রদ্দুল মহতার ২/১৫৩-১৫৬)
১০। বিতরের নামাযে তৃতীয় রাকাআতে কিরাআতের পর কোন দুআ পড়া। যে কোন দুআ পড়লে এ ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়। তবে দুআ কুনূত পড়লে ওয়াজিবের পাশাপাশি সুন্নাতও আদায় হয়ে যায়। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ৬৮৯৩; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ৩২৬৯)
১১। দুই ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা। (শরহু মাআনীল আছার, হাদীস নং ৬৭৫৪; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১১৫৫)
১২। দুই ঈদের নামাযে দ্বিতীয় রাকাআতে রুকুর জন্য (অতিরিক্ত তিন তাকবীর ব্যতীত) ভিন্নভাবে তাকবীর বলা। (সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৫৩৬; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং ৫৬৮৫)
১৩। ইমামের জন্য যোহর ও আসরে কিরাআত আস্তে পড়া এবং ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমুআ , দুই ঈদ, তারাবীহ (এর প্রথম দু রাকাআতে) ও রমযান মাসের বিতর নামাযে (তিন রাকাআতেই) কিরাআত উচ্চস্বরে পড়া। দিনের সুন্নাত ও নফল নামাযেও কিরাআত আস্তে পড়া। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৭৪৬, ৭৬৫, ৭৬৬, ৭৭৩; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ৩৬৬৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২০৬৩, ২০৯৬)
১৪। সালাম বলে নামায শেষ করা। (সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৩; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৬১)
মাসআলাঃ নামাযে কোন ফরজ ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ছুটে গেলে তা পূনরায় পড়তে হবে। সিজদায়ে সাহূ দিলেও তা সহীহ হবে না। আর নামাযে এক বা একাধিক ওয়াজিব ভূলে ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহূ দেওয়া ওয়াজিব। তবে যদি ইচ্ছাকৃত কোন ওয়াজিব তরক করা হয় বা সিজদায়ে সাহূ ওয়াজিব হওয়ার পরেও না দেওয়া হয় তবে তা পূনরায় পড়তে হবে। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১৩৫, ১২২৪; রদ্দুল মুহতার ১/৪৪৭)