১। কিবলামুখী হয়ে দুআ করা। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৭৫২; সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৩০৮৩)
২। উভয় হাত সীনা বরাবর উঠানো। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৪৯১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৯৩; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং ৩২৩৪)
৩। হাতের তালু আসমানের দিকে প্রশস্ত করে রাখা। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৯৩; আল-মু’জামুল কাবীর, তাবারানী, হাদীস নং ৩৮৪২; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৪৮৭)
৪। আল্লাহ তাআলার হামদ বা প্রশংসা দ্বারা দুআ শুরু করা। (সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৩৪৭৬; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৪৮৩)
৫। অতঃপর দুরূদ শরীফ পড়া। (সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৩৪৭৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২৩৯৩৭)
৬। অত্যন্ত কাকুতি মিনতি করে দুআ করা। (সূরা আরাফ, আয়াত নং ৫৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ১১৬৭)
৭। দুআর বিষয়টি ইয়াক্বীন ও দৃঢ়তার সাথে বারবার চাওয়া। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৬৩৩৮; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৪৮৫)
৮। দুআতে তাড়াহুড়া না করা এবং নিরাশ না হওয়া বরং ধৈর্য্যরে সাথে দুআ করতে থাকা। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৬৩৪০)
৯। আশা ও ভয়ের সাথে দুআ করা। (সূরা আরাফ, আয়াত নং ৫৬; সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং ৯০)
১০। নিঃশব্দে দুআ করা। (সূরা আরাফ, আয়াত নং ৫৫; সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩৮৪)
১১। আবেগের সাথে পূর্ন মনোযোগ সহকারে দুআ করা। (সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৩৪৭৯)
১২। দুআর শেষে দুরূদ শরীফ পড়া। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং ৩১১৮; শুআবুল ঈমান, হাদীস নং ১৫৭৬)
১৩। অতঃপর হামদ বা আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করা। (সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৩৪৭৬; আল-আযকার, ইমাম নববী ২/৩৪৭)
দুরূদ ও হামদ একত্রে এভাবে পড়া যায়-
سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
(সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ২৯৯; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ৩০৯৭)
১৪। আমীন বলে দুআ শেষ করা। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৯৩৯; আল-মু’জামুল কাবীর, তাবারানী, হাদীস নং ৭৫৬)
১৫। দুআ শেষ করে উভয় হাত দ্বারা চেহারা মাসেহ করা। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৪৮৭; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ৩২৭৬)

Loading