প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম হযরত আমাদের এখানে একজন ফলের দোকানদার আছেন। তিনি বর্তমানে খুব অভাবে আছেন। তার দোকানে ফল উঠানোর মত কোন টাকা নেই। মানুষের কাছে ধার দেনা করে চলছেন। তার কাছে মাঝে মাঝে বসলে তার পাওনাদারদের তাগাদা শুনলে আমার খুব খারাপ লাগে। যেহেতু আমিও খুব ধনী নই তাই তাকে সাহায্য করতে পারছি না। সে নিজেও মানুষের কাছে টাকা পাবে কিন্তু তার টাকা নিয়ে অনেক মানুষ লাপাত্তা হয়েছে আর অনেকে দিচ্ছে না ইত্যাদি। আমার এক পরিচিত আত্মীয় রমজানে অথবা অগ্রিম যাকাত দেয়। যদি আমি তাকে বলি তবে সে অগ্রিম পাঁচ দশ হাজার টাকা তাকে দিবেন। এতে তার অনেক উপকার হবে। কিন্তু তার কাছে শুনলাম তার মাঠে ও বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে প্রায় ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি পড়ে আছে । এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে তাকে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে কি?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
তার পাওনা টাকার মধ্যে যেগুলো সে নিশ্চিত পাবে বা যেগুলো পাওয়ার ব্যাপারে সে আশাবাদী এবং তার অন্য কোন যাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে থাকলে এ দুটি মিলে যে সম্পদ হয় তা থেকে ঋণ বাদ দেওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পদ যদি নেসাব পরিমান হয় তবে সে যাকাত গ্রহন করতে পারবে না। অন্যথায় পারবে। যেমন ধরুন বর্তমান যাকাতের নেসাব ৪২০০০ টাকা। তার বাজারে পাওনা টাকা ৭০০০০ হাজার। যার মধ্যে ৬০০০০ টাকা সে পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত। আর মানুষ তার নিকট পাবে ২০০০০ টাকা। এছাড়া তার নিকট বর্তমানে ২০০০ টাকা ব্যক্তিগত যাকাতযোগ্য সম্পদ রয়েছে। এখন তার নিশ্চিত পাওনা ৬০০০০ ও তার নিকট অবস্থিত ২০০০ টাকা মিলে ৬২০০০ টাকা হয়। তা থেকে ঋণ ২০০০০ বাদ দিলে ৪২০০০ টাকা হয়। আর তা নেসাব পরিমান। কাজেই সে যাকাত গ্রহন করতে পারবে না। আর অবশিষ্ট সম্পদ যদি নেসাব পরিমান না হয় তবে সে যাকাত গ্রহন করতে পারবে।–ফাতহুল কদীর ২/২৬৩; আল বাহরুর রায়েক ২/৪২২; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/৪২; ফিকহী মাকালাত ৩/১৫৪

Loading