প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১) আমি তাওবার জন্য “আসতাগফিরুল্লাহি রব্বি মিনকুল্লি জামবিউ ওয়া আতুবিইলাইহ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজীম” এই দুআটা পড়তাম। কিন্তু আমাকে একজন বললো এটা নাকি হুজুরদের বানানো দোয়া। আসলেই কি এটা বানানো দোয়া ? হাদীসের আলোকে কিছু তাওবার দুআ দিলে ভালো হত। ২) অনেক আল্লাহর ওলীদের জীবনীতে আছে তারা একটানা তিন দিন, সাত দিন, চল্লিশ দিন রোযা রাখে। তিন দিন, সাত দিন, চল্লিশ দিন পর ইফতার করে। এরকম রোযা কি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অথবা সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) রেখেছিলেন ? এবং এরকম রোযা কি জায়েয আছে ? ৩) হাজীরা কত তারিখে মাথা হলক করে ? এটা কি সুন্নাত ? আর আমরা যারা হজ্জ্বে যেতে পারলাম না তারা কি মাথা হলক করলে ছাওয়াব পাবো ?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

(১) হাদীসে এভাবে ইস্তেগফারটি পাওয়া যায় না। এভাবে পড়তে পারেন-

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৫১৯

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ৪৮৯২

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ

সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৬২

(২) এভাবে রোযা রাখা জায়েয নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতকে এভাবে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। তবে তিনি এভাবে রোযা রাখতেন। আর এটা তার জন্য খাছ ছিল। -সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১৯৬২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬১৮।

(৩) সাধারণত যিল হজের ১০ তারিখে করে থাকে। তাদের জন্য এটা ওয়াজিব। হাজী ছাড়া অন্যদের জন্য এমন বিধান নেই।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১৬৯১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৬০৬৮।

Loading