প্রশ্ন : জনাব, এক প্রবাসী তার স্ত্রী, তার কিশোরী মেয়ে আর তার ছোট ছেলে আমার মহল্লাতে থাকে। ঐ স্ত্রীর বেপরয়া চলাফেরা আর শয়তানের ওয়াসওয়াসায় তার প্রতি আমি আকৃষ্ট হই। তার বাসায় যাতায়াত চলতে থাকে, সে আমার সামনে সর্বদা প্রায় ওড়না ছাড়া থাকত। তার শরীর দ্বারা আমি খুব প্রভাবিত হই। বিভিন্ন কাজের সময় তার বক্ষ অর্ধ উলঙ্গ, উলঙ্গভাবে দৃষ্টিগোচর হত। আমি তাকে ভেবে হস্তমৈথুন করতাম। এছাড়া কয়েকবার কাজের অজুহাতে তার নিতম্বে কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শও করেছিলাম। বিভিন্ন সময় তার হাতের সাথে আমার স্পর্শ লাগত আর আমার উত্তেজনা কাজ করত। এক রাতে আমি স্বপ্নে দেখি ঐ মহিলার আর আমি পুরো উলঙ্গ শরীরে সহবাস করছি। কিন্তু এর মধ্যে তার মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক তৈরী হয়। এক সময় তার মেয়ের সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়। মেয়ের মা আমাকে বিভিন্ন সময় কল করে বাসায় নিয়ে যেত। কিন্তু তখন মায়ের প্রতি আমার কোনো আগ্রহ কাজ করত না। ততদিনে তার মেয়ের প্রতি আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি। আমরা প্রায় ৪০ বারের মত শারীরিক সম্পর্ক করি। সব ব্যপারটাই বড় গোনাহ হয়েছে এখন তা আমি বুঝতে পারছি। তাই আল্লাহর কাছে আমি মাফ চাচ্ছি। কিন্তু ঐ মেয়ের প্রভাব অনেক লড়াই করেও আমি মন থেকে দুর করতে পারছি না। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তার মায়ের সাথে প্রথম দিকে আমার যে সখ্যতা গড়ে আর আকর্ষণ কাজ করেছিল সে পরিপ্রেক্ষিতে এখন যদি এই মেয়েকে আমি বিবাহ করতে চাই সেটা শরীয়তের দৃষ্টিতে বাঞ্ছনীয় কি না? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।

উত্তর :

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী উক্ত মেয়ের সাথে আপনার বিবাহ জায়েয হবে না। বরং উক্ত মেয়ে কিয়ামত পর্যন্ত আপনার উপর হারাম।

উল্লেখ্য যে, আপনি অত্যন্ত জঘন্যতম গোনাহের কাজ করেছেন। এজন্য আপনি খালেছভাবে আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবা করে নিবেন। আর উক্ত মহিলা ও তার মেয়ে উভয় থেকে দূরে থাকবেন।-ইলাউস সুনান ১১/১৩১, ১৩২; রদ্দুল মুহতার ৩/৩১-৩৩

Loading