প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। অনেক দিন আগে থেকেই আমি আপনার নিকট বিভিন্ন প্রশ্ন করে থাকি এবং উত্তরও পাই। আপনার কথা অনুযায়ী সুদী কারবারে না জড়াতে কোন ব্যাংকেই কারেন্ট একাউন্ট খুলতে পারলাম না। অনেক চেষ্টা করেছি, অনেক ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কিন্তু পারিনি। যার জন্য গত 26/03/2018 ইং তারিখ হইতে এখন পর্যন্ত আমার নিকট 58395 টাকা গচ্ছিত রয়েছে, আশা রাখছি একাউন্ট খুলেই রেখে দিব, এভাবে কি নিজের কাছে টাকা জমা রাখা যায়? উক্ত 58395 টাকা 1 বছর 3 মাস পূর্ণ হয়ে গেছে। ১। উক্ত টাকার কত যাকাত হয়েছে এবং কবে দিতে হবে? ২। আপনার মাদ্রাসায় কি উক্ত যাকাতের টাকা দেয়া যাবে? ৩। আমিতো অনেক চেষ্টা করেও একটি কারেন্ট একাউন্ট খুলতে পারিনি, আপনি কি আপনার স্থানে থেকে আমাকে 1টি কারেন্ট একাউন্ট খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন, তাহলে আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। আপনি যেদিন কমপক্ষে ৪২০০০ টাকার যাকাতযোগ্য সম্পদের মালিক হয়েছেন, ঐ দিন থেকে চান্দ্র মাস অনুযায়ী ঠিক এক বছর যেদিন পূর্ণ হয়েছে সেদিন আপনার উপর যাকাত ফরজ হয়েছে। যেমন রজবের ১০ তারিখ নেসাবের মালিক হলে পরের বছর রজবের ৯ তারিখে গচ্ছিত সম্পদের উপর যাকাত যাকাত ফরজ হবে। আর যাকাত ফরজ হওয়ার পর বিনা উযরে দেরি করা গুনাহের কাজ। বছর পূর্ণ হওয়ার পর অতি দ্রুত দিয়ে দেওয়া কর্তব্য। এমনকি রমযানের আশায় লম্বা সময় অপেক্ষা করাও অন্যায়।
শতকরা আড়াই টাকা হারে যাকাত দিতে হয়। সেমতে ৫৮৩৯৫ টাকার যাকাত ১৪৬০ টাকা হয়। আর দোকানের বিক্রয়যোগ্য যেসকল পণ্য রয়েছে (যেমন খাতা, কলম ইত্যাদি) তার উপরও যাকাত আসবে। আপনি নিম্নোক্ত লিঙ্কে যাকাত সংক্রান্ত যাবতীয় মাসআলা বিস্তারিত জানতে পারবেন-
http://muftihusain.com/article/%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a4-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%9c%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%ae%e0%a6%be/
২। হ্যাঁ, দিতে পারেন। আপনার মেইলে একটি বিকাশ নাম্বার পাঠিয়ে দিলাম।
৩। মাথায় রইল। চেষ্টা করব ইংশাআল্লাহ।

Loading