প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম,আমি প্রায় ৭-৮ বছর আগে মাস্টার্স পাস করার পরই বাবা-মার মাধ্যমে বিয়ে করি (বর্তমানে আমাদের তিন বছরের একটি মেয়েও আছে)। মেয়েপক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, ছেলে এখন কিছু না করে বিয়ের পরে করবে-কোন সমস্যা নেই। কিন্তু লেখাপড়া শেষ করে আজ পর্যন্ত কোনও চাকুরীর সন্ধান পাইনি, সংসার চলে আমাদের বাড়ি ভাড়া থেকে যা আসে তাই দিয়ে। তাই চাকুরী না পাবার কারণে যখনই মনে পড়ে যে- আমি কিছু করি না, তখন খুব খারাপ লাগে। মাঝে মাঝে মাথা গরম করে কথা বলে ফেলি, যদিও বা এরুপ করা ঠিক না। এরই জের ধরে সেদিন আমি মায়ের সাথে বলে ফেলি যে- আসলে যারা কিছু করে না তাদের বিয়ে করা / সংসার করা ঠিক না, তাদের সংসার করা হারাম। আর বলেছি যে- কেনই বা না, কুরআনেও তো আছে যে- যারা কিছু করে না তাদের বিয়ে করা / সংসার করা হারাম। রাতে যখন ঘুমোতে যাবো তখন আমি মার সাথে যেসব কথা হলো তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। আমি যা বলেছি কুরআনের বিপরীত হয়ে গেলো না তো, নাকি ঠিকই আছে? তবে যখন প্রশ্ন করার জন্য লিখতে বসি তখন তাওবা করেছি। মুহতারাম, এমতাবস্থায় আমার প্রশ্ন হলো যে- উপরোল্লিখিত আমার মায়ের সাথে আমি যা বলেছি, তাতে আমার কুফুরী হয়ে যায়নি তো? যদি তাই হয় তবে কি করণীয়?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
আপনার এই বক্তব্য “কুরআনেও তো আছে যে- যারা কিছু করে না তাদের বিয়ে করা / সংসার করা হারাম” সঠিক তো নয়-ই বরং কুরআনের বিপরীত । আর না জেনে পবিত্র কুরআন সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা খুবই আপত্তিকর ও গর্হিত কাজ। যারা আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা রেখে নিজেকে গোনাহ থেকে পবিত্র রাখার জন্য বিবাহ করে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ধনাঢ্যতা দান করেন। এজন্য হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণীত আছে তিনি বলেন তোমরা বিবাহের মাধ্যমে ধনাঢ্যতা তালাশ কর।
আপনি ভবিষ্যতে কুরআন সম্পর্কে না জেনে কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন এবং ইস্তেগফার করবেন।–সূরা নূর, আয়াত ৩২; তাফসীরে ইবনে কাসীর, আয়াত ৩২

Loading