প্রশ্ন : হুজুর আমি পাঠা দেখিয়ে বিনিময় নেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। আপনার উত্তরও পেয়েছি। আমি আপনার উত্তরের উপর আমল করবো, ইংশাআল্লাহ। তবে যদি তারা টাকা দিতে চায় এবং আমি তাদের বলি, “আমিতো টাকা নিবো না কিন্তু আপনি ভবিষ্যতে আবার আসলে পাঠার জন্য খুশি হয়ে কোন কিছু নিয়ে আইসেন।” তবে কি তা জায়েয হবে?

উত্তর :

উপরোক্ত প্রশ্নটি মূলত অন্য একটি প্রশ্নের সম্পূরক প্রশ্ন। পাঠকদের সুবিধার্থে প্রথমে তা উত্তরসহ দেওয়া হল-

প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। ছাগলকে পাঠা দেখিয়ে/দিয়ে টাকা নেওয়া কি জায়েয আছে? যদি জায়েয না হয় তবে যারা পাঠা দেখাতে ছাগল নিয়ে আসে তাদেরকে পাঠার জন্য হাদিয়া বাবদ যদি ইচ্ছে বা খুশি মত কুড়া, ভুসি ইত্যাদি কোন কিছু যা পারে আনতে বলি তবে তা নেয়া কি জায়েয হবে? এতে করে পাঠার খাওয়ার একটি ব্যবস্থা হলো আর আমাদেরও কিছু উপকার হলো।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

পাঠা দ্বারা প্রজনন ঘটিয়ে এর বিনিময় নেওয়া জায়েয নয়। অনুরূপভাবে এর চুক্তি করাও জায়েয নয়। তবে পাঠার মালিক বিনিময় ছাড়া তা না করতে চাইলে সেক্ষেত্রে ঠেকায় পড়ে বিনিময় দেওয়া জায়েয। এমতাবস্থায় গুনাহ পাঠার মালিকের হবে।

তবে কোন চুক্তি ছাড়া স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছাগীর মালিক খুশি হয়ে কিছু দেয় তবে তা নেওয়া যেতে পারে।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ২২৮৪; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/১১৬; ফাতাওয়া রহীমিয়া ৯/৩০৬

মূল উত্তরঃ না, এটা তো জায়েয হবে না। এটা তো স্পষ্ট চুক্তির ন্যয় হল। আমি বলেছিলাম “তবে কোন চুক্তি ছাড়া স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছাগীর মালিক খুশি হয়ে কিছু দেয় তবে তা নেওয়া যেতে পারে”। অর্থাৎ আপনি কোন চুক্তিতে যেতে পারবেন না এবং এর প্রতি কোন ইশারাও করতে পারবেন না। আর এমনও যেন না হয়, যে কিছু দেয় কেবল তাকেই পরবর্তীতে সুযোগ দিয়ে থাকেন, আগাম চুক্তি ছাড়া কেউ কিছু না দিলে তাকে আর পরবর্তীতে সুযোগ দেন না।

মোটকথা, এটাকে কোন পেশা বা উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। হাদীস শরীফে এ থেকে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে। হ্যাঁ, কেউ কখনো কোন বলা কওয়া ছাড়াই কিছু দেয় তবে তা নিতে পারেন।

 

Loading