প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম রোহিঙ্গাদের জন্য রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থাকলে কি করতেন? রাখাইনে যে গণহত্যা চলছে তার জন্য যে বাধা প্রদান করার দরকার ছিলো তা করছি না বলে মুসলিমদের মধ্যে কারা দায়ী থাকবে- ১। সাধারণ মুসলিম, ২। আলেমরা, ৩। দেশের শাসক। আমাদের হাতে কি কিছুই করার নেই ?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থাকলে অন্তত তাদের উপর আপতিত জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়ন প্রতিহত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাতেন এতে কোন সন্দেহ নেই।
বড়ই আফসোস লাগে যখন দেখি আমাদের এবং মুসলিম বিশ্বের অন্যতম মুরব্বী রাষ্ট্র সৌদি আরবের নিকট বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধশালী মুসলিম রাষ্ট্র কাতারকে সায়েস্তা করা ও তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা, ইয়েমেনে সাথে যুদ্ধ করা এবং ইরানেকে কোণঠাসা করা মিয়ানমারের নির্যাতিত মুসলমানের পাশে দাঁড়ানো এবং নির্যাতন বন্ধ করতে মিয়ানমারকে বাধ্য করার গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াল। লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের প্রবাহিত রক্ত ও অশ্রু, ইয়াতীম ও অসহায়দের আহাজারি এবং মা-বোনদের ছিন্ন-বিছিন্ন কাপড়ের দায় মুসলিম বিশ্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। বিশেষভাবে মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানগণ মানবতার আদালতের কাঠগড়ায় অত্যন্ত আসহায় অবস্থানে রয়েছেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে এরদোগানকে আল্লাহ্‌ তাআলা সৎসাহস আরো বাড়িয়ে দিন এবং তার হায়াতকে আরো দারায করে দিন। উল্লেখযোগ্য ভূমিকা তিনিই পালন করেছেন। পাশপাশি নাজিব রাজাকও কিছু হুংকার ছেড়েছেন। আর বাকি মুসলিম বিশ্ব কিন্তু নিরব।
কেন সমস্ত মুসলিম বিশ্ব এক হয়ে কি মিয়ানমারকে সামাল দিতে পারতো না? তাদের সাথে সর্বপ্রকার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারতো না? তাহলে এই হাদীসের কি অর্থ থাকবে “সমস্ত মুসলমান এক ব্যক্তির ন্যায়, যদি তার মাথায় কোন সমস্যা হয় তবে সমস্ত শরীর অসুস্থ হয়ে যায়”?
যাই হোক আমরা অনেক কিছুই করতে পারতাম কিন্তু কিছুই করা হয়নি। তবে প্রত্যেকে তাদের জন্য অন্তত দুআ করতে পারি এবং আমাদের নিকট যতদিন তারা মুহাজির হিসেবে থাকবে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে পারি।

Loading