প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম সিজারে বাচ্চা নেওয়া সম্পর্কে ইসলামে কি বলে বিস্তারিত জানতে চাই?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
একান্ত অপারগতাবশত করতে কোন সমস্যা নেই। অর্থাৎ যখন বাচ্চা বা মায়ের জীবনের আশঙ্কা হয় এবং দ্বীনদার বিজ্ঞ কোন চিকিৎসক সিজার করতে বলেন।
অন্যথায় স্বাভাবিক পদ্ধতিতে বাচ্চা হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সিজার জায়েয নয়। এর মধ্যে শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বেশ কিছু আপত্তিকর দিক রয়েছে। যেমন-

১। এর দ্বারা নিজ শরীরের ক্ষতি করা হয়। যারা সিজার করেছেন তারা এ বিষয়ে অবগত আছেন। সারা জীবন ভারী কোন কাজ করা যায় না। প্রায়ই কাটা জায়গায় ব্যথা করে।

২। অধিক সন্তান ধারনের দিক দিয়ে অনেকটা পঙ্গুত্ব বরন করতে হয়। কেননা সিজার করলে দুই/তিনটির বেশি বাচ্চা নেওয়া যায় না। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন “তোমরা এমন মহিলা বিবাহ কর যারা অধিক সন্তান জন্মদানে সক্ষম। আমি কিয়ামতের দিন উম্মতের আধিক্য নিয়ে গর্ব করব”।–সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ৩২২৭

৩। বিনা প্রয়োজনে কোন পুরুষকে সতর দেখানো হয়। পুরুষ কোন চিকিৎসক অপারেশন করলে তো বিষয়টি স্পষ্ট। আর মূল অপারেশন কোন মহিলা চিকিৎসক করলেও অ্যানেসথেসিয়া (অবশকরন) আমার জানা মতে পুরুষ চিকিৎসকই করেন।

৪। অর্থের অপচয় হয়।

৫। সর্বোপরি মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফেরদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা হয়।

খুবই আশ্চর্য লাগে যখন দেখি, বিশ্বের উন্নত কোন দেশ এ পন্থা অবলম্বন করে না অথচ আমাদের দেশে এটাই অন্ধের যষ্টি। যেখানে অসহায় মানুষের এক টুকরো রুটি জুটে না সেখানে উন্নত বিশ্বের পক্ষ থেকে অথবা বিভিন্ন এন জি ওর পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমানে জন্ম নিরোধক ঔষধ বিতরন করা হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে সিজার একটা অনেক বড় অভিশাপ পরিণত হয়েছে। সামান্য কটা টাকার জন্য মানুষের উপর ছুরি চালিয়ে পঙ্গু বানিয়ে দিচ্ছে। আল্লাহ তাআলা আমাদের চিকিৎসকদের সুমতি দান করুন।

Loading