প্রশ্ন : হযরতের কাছে জানতে ইচ্ছুক ১। আমার জানা মতে ফজর ও যোহররে নামাযে ত্বিওয়ালে মুফাসসা্ল কিরাআত পড়তে বলেছে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সূরা হুজুরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত) এই নিয়ম সারা বছরের জন্যে, কিন্তু আমার জানার বিষয় হচ্ছে এমন কোন হাদীস/সুন্নাত আছে কিনা, যে রমজান মাসে ফজর নামাযের কিরাআত কিছুটা ছোট হবে বা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসের ফজরের নামাযের কিরাত কিছুটা ছোট করতেন। ২। কোন ব্যক্তি ওযু করা শুরু করলো এবং পা ধোয়ার আগে টিস্যু বা গামছা দিয়ে ওযুর পানি মুছে ফেলার পর পা ধৌত করলো, এতে ওযুর কোন সমস্যা হবে কিনা? ৩। কোরআন শরীফের যে সূরা নামকরণ গুলো হয়েছে সেগুলো কি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে করেছেন কিনা? যেমন সূরা বাঁকারা, সূরা নাস নাকি আল্লাহ্‌ তায়ালা করেছেন?

উত্তর :

১। রমযান মাসেও ফজরের নামাযে তিওয়ালে মুফাসসাল পড়া সুন্নাত। তবে এতে যদি মুসল্লীদের কষ্ট হয় বা জামাআতের লোক কম হয় তবে তিওয়ালে মুফাসসালের মধ্য থেকেই অপেক্ষাকৃত ছোট সূরা দ্বারা নামায পড়িয়ে দেওয়া উচিত।
২। বিনা ওযরে এমনটি করা খিলাফে সুন্নাত এবং মাকরূহ। উযূতে এক অঙ্গ শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা সুন্নাত।–বাদায়েউস সানায়ে ১/৬৬; রদ্দুল মুহতার ১/৩৩০ (শামেলা)
৩। আল্লাহ তাআলার হুকুম এবং ইশারার ভিত্তিতেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেছেন।

Loading