প্রশ্ন : হুজুরের নিকট একটি জানার বিষয় ছিল তা হল এই। اللهم صل علي سيدنا حبيبنا شفيعنا نبينا مولا نا محمد صلي الله عليه وعلي اله واصحابه وبارك وسلم। এই দুরূদটি নাকি হাদীসের কোন দুরূদ নয়। এটি পড়া নাকি বিদআত। এর কারন হিসেবে বলা হয়েছে এ দুরূদের প্রথমে اللهم صل বলে একবার দুরূদ পড়া হয়েছে, তারপর শেষে গিয়ে আবার صلي الله عليه বলে আবার দুরুদ পড়া হয়েছে। যা ফাতাওয়ায়ে শামীতে মাকরূহ লেখা হয়েছে। কেননা এখানে দুরূদের মধ্যে দুরুদ পড়া হয়েছে। নবীজীর উপর দুরুদ পড়ার অধীনে আবার তার উপর দুরুদ পড়া মাকরূহ, যাতে তাসালসুল না হয়ে যায়।{শামী১/৫১৯} যে বইটিতে তা লেখা হয়েছে তার নাম “ভ্রান্ত মতবাদ সমূহ ও তার জবাব”। লেখক: মুযযাম্মিলুল হক। হযরতের কাছে দরখাস্ত রইল, প্রমান সহকারে উওর দেওয়ার জন্য এবং তাড়াতাড়ি দিতে পারলে ভাল হবে। জাযাকাল্লাহু।

উত্তর :

হুবহু প্রশ্নে উল্লেখিত শব্দে দুরূদটি হাদীস শরীফে পাওয়া যায় না। তবে তা পড়া বিদআত নয়। কেননা কোন দুরূদ হাদীসে না থাকলেই তা পড়া বিদআত হয়ে যায় না। দুরূদ অর্থ হল আল্লাহর রাসূলের জন্য শান্তি বর্ষণের দুআ করা। আর তা হাদীসে বর্ণিত বাক্যের বাইরেও হতে পারে। তবে হাদীস শরীফে বর্ণিত দুরূদ পড়লে তা যে অধিক ছাওয়াবের ও বরকতের কারন হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
আর ফাতওয়ায়ে শামীর বরাতে যে কথা বলা হয়েছে তা শামীর কোথাও নেই। এটা একটা স্পষ্ট জালিয়াতি। উক্ত দুরূদে মূলত পাশাপাশি দুটি দুরূদ রয়েছে। একবার দুরূদ পড়লে কি আরেকবার দুরূদ পড়া নিষেধ?-মিরকাতুল মাফাতীহ ৩/৬; ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ৩/১২৪

Loading