প্রশ্ন : ১। বীমা কোম্পানি যেমন বাংলাদেশ সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, মেটলাইফ, অ্যালিকো এগুলোর এজেন্সিশিপ নেওয়া ইসলামের শরীয়তে কোন পর্যায়ের গুনাহ? এগুলোতে চাকরি করা ইসলামের শরিয়তে কোন পর্যায়ের গুনাহ? ২। ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখা, মুনাফা খাওয়া, চাকরি করা ইসলামের শরিয়তে দৃষ্টিতে কিরুপ? ৩। সুদি ব্যাংক এ টাকা রাখা, ইন্টারেস্ট খাওয়া, চাকরি করা ইসলামের শরিয়তে দৃষ্টিতে কিরুপ। ৪। সুদি ব্যাংক এর ইন্টারেষ্ট আর ইসলামী বাংক এর মুনাফা কি শরিয়তের দৃষ্টিতে একই? ৫। সুদি বাংকগুলোর ইসলামিক শাখা আছে। সুদি ব্যাংক এর ইসলামী শাখা আর পরিপুর্ন ইসলামী বাংক এ টাকা রাখা, মুনাফা খাওয়া, চাকরি করা কি শরিয়তের দৃষ্টিতে একই? ৫। আপনি নিচের লিংক এ http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=2463 লিখেছেন যে – যে কোন বীমা বা ইনস্যুরেন্সে চাকরি করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম। বীমা মূলত সূদ ও জুয়া দুটি জিনিসের সমন্বয়। এটা কোরআন হাদীসের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করুন। আমার বোনের স্বামী বা আমার পিতা বীমা কোম্পানীর চাকুরি বা এজেন্সীশিপ করে আমাদের সংসার চালান। শরিয়তে দৃষ্টিতে আমাদের কি করনীয়? ঊত্তর কে বা কাহারা বা কোন ইফতা বিভাগ থেকে প্রদান করা হচ্ছে তা যোগাযোগের ঠিকানাসহ উল্লেখ করে দিবেন অনুগ্রহ করে।

উত্তর :

১+৩। মারাত্মক পর্যায়ের কবীরাহ গুনাহ। আল্লাহ এবং তার রাসূলের সাথে যুদ্ধ করার নামান্তর।

২। নিম্নোক্ত লিঙ্কে আপনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন-

http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=3154

৪+৫। যদি ইসলামী ব্যাংকগুলো সূদী ব্যাংকগুলোর মত কারবার করে তবে তো একই হবে।

৫। বিষয়টি পরিষ্কার। বীমার মধ্যে যেমনিভাবে সূদ রয়েছে তেমনিভাবে জুয়াও রয়েছে। তারা জমাকৃত নির্ধারিত টাকার উপর সূদ দেয়। আবার বীমা সম্পূর্ণটাই জুয়া। যেমন ধরুন ১০০০ জন গাড়ির বীমা করল। এর মধ্যে ২ টা গাড়ি এক্সিডেন্ট করল। এখন ঐ ৯৯৮ জনের প্রদেয় টাকা থেকে ঐ দুজনকে একটা মোটা অঙ্ক দেওয়া হবে। অর্থাৎ এই টাকাটা সম্পূর্ণ ঝুকির উপর নির্ভর করে। এটাই জুয়া।

যাই হোক, বীমা হারাম হওয়ার ব্যাপারে উলামাদের বা নির্ভরযোগ্য কোন দারুল ইফতার কোন দ্বিমত নেই। এক্ষেত্রে তাদের করণীয় হল, উক্ত চাকরি দ্রুত ছেড়ে দিয়ে অন্য কোন উপায় খুঁজে নিবে। আর অতীতের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট খালেছভাবে তাওবা করে নিবে।

আমার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ন্যাভিগেশন মেন্যুতে সংক্ষিপ্ত জীবনী দেখতে পারেন।

Loading