প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, ১। আমি জানি যে, ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে থাকা যায়। কিন্তু অনেক মসজিদে দেখি যে তারা শবগুজারী করে মসজিদে থাকে। এরকম শবগুজারী কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেছিলেন ? ২। শবগুযারী করলে এর ফাযায়েল কি কি ?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
(১) ইমাম বুখারী (রহঃ) স্বীয় বুখারী শরীফে মসজিদে শয়ন সম্পর্কে স্বতন্ত্র অধ্যায় কায়েম করেছেন। সেখানে তিনি অস্থায়ীভাবে মসিজেদ থাকা জায়েয প্রমাণিত করেছেন। হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) যুবক বয়সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মসিজেদ শয়ন করেতন। তখন তিনি অবিবাহিত ছিলন। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৪৪০)

হযরত সাহল বিন সা‘আদ (রাঃ)-এর বর্ণনায় বলা হয়েছে, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে হযরত আলীর (রাঃ) কথা জিজ্ঞাসা করেন। হযরত ফাতেমা (রাঃ) বলেলন তিনি কোন কারণে নারাজ হয়ে কোথাও চলে গেছেন। এ কথা শুনে তাকে তালাশ করার জন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোক পাঠালেন। তালাশ করার পর লোক এসে বলল তিনি মসিজেদ ঘুমিয়ে রয়েছেন। এ সংবাদ পেয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসিজেদ গমন করলেন। দেখেলন! হযরত আলী (রাঃ) নিদ্রায় বিমগ্ন এবং তাঁর গায়ের চাদর সরে গিয়ে তাঁর গায়ে ধুলোবালি লেগে গিয়েছে। তাকে জাগ্রত করতে গিয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেলন ওহে আবু তুরাব (মাটি মাখা) উঠো।” (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৪৪১)

এমিনভাবে এ সম্পর্কে অনেক হাদীস বিদ্যমান আছে। এছাড়া তাবলীগ জামা‘আতর লোকেরা অনেকেই মুসাফির থাকে, তাছাড়া তারা মসিজেদ প্রবেশ করেই ইতিকাফের নিয়ত করে থাকেন। আর মুসাফিরের জন্য বা ইতিকাফের নিয়ত করার পর মসিজেদ থাকা, খাওয়া ও শোয়াতে শরীআতের দৃষ্টিতে কোন অসুবিধা নেই। তদুপরি সর্বত্র দীনের প্রচার প্রসার ও দা‘ওয়াতের মহান জিম্মাদারী আদায়ের জন্য মসজিদই উপযুক্ত স্থান। তাবলীগের জন্য এর বিকল্প নেই।

(২) ইতিকাফের নিয়ত করলে তো নফল ইতিকাফের ছাওয়াব পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি যারা
দীনের প্রচার প্রসার ও দা‘ওয়াতের মেহনতের জন্য থাকে তাদের আলাদা ছাওয়াব তো রয়েছেই।

Loading