প্রশ্ন : এক মহিলার বিভিন্ন পারিবারিক ঝামেলার কারণে তার স্বামীকে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিয়েছিলো। ঐ মহিলার কাবিন নামায় তাকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। (এর আগে যেই কাজী তাদের বিবাহ পড়িয়েছিল সেই কাজীর মাধ্যমে মহিলার বাবা মহিলাকে কাগজে সাইন নিয়ে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়েছিলো এবং ডিভোর্স লেটার প্রথম স্বামীর কাছে পাঠিয়েছিলো, প্রথম স্বামীর কাছে ডিভোর্স লেটার যাওয়ার পর চেয়ারম্যান সাহেব তাদের উভয় পক্ষকে ডাকে এবং প্রথম স্বামী টাকা দাবি করেছিলো কিন্তু টাকা মেয়ে পক্ষ দেয়নি। এর ২ সপ্তাহ পর মহিলা নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আবার স্বামীর কাছে ফিরে গিয়েছিলো।) প্রথম স্বামীকে দ্বিতীয় বার কোর্ট তালাক দেওয়ার পর ইদ্দত পালন না করেই মহিলাকে অন্য এক জনের সাথে কাবিন করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে ঐ দ্বিতীয় স্বামী মহিলাকে মুখে তিন তালাক দিয়েছিলো এবং পরবর্তীতে মহিলা ঐ দ্বিতীয় স্বামীকে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিয়েছিলো। দুই বছর পরে মহিলাকে অন্য এক পুরুষ বিবাহ করে। তৃতীয় স্বামীকে বিবাহ করার পর মহিলার প্রথম স্বামী মহিলাকে মুখে তিন তালাক দেন। মহিলা তৃতীয় স্বামীকে নিয়ে সংসার করছেন। প্রশ্ন হচ্ছে মহিলার তৃতীয় বিবাহ কি সহীহ হয়েছে? আর এ অবস্থায় প্রথম স্বামীর মুখের তালাকের পর কি মহিলাকে ইদ্দত পালন করতে হবে? ইদ্দত যদি পালন করতেই হয় তবে কবে থেকে পালন করতে হবে? নাকি প্রথম স্বামীর মুখে তালাক দেওয়ার পর থেকেই ইদ্দত শুরু হয়ে গেছে? এক্ষেত্রে তৃতীয় স্বামীর সাথে শরীয়ত সম্মত ভাবে বিবাহ হতে হলে কি করতে হবে?

উত্তর :

আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কয়েকটি বিষয় জানা ও দেখা প্রয়োজন।

১। প্রথম বিবাহের কাবিননামা ও মেয়ে কর্তৃক প্রদেয় (প্রথম স্বামীকে) ডিভোর্স লেটার।

২। ডিভোর্স লেটার পাঠানোর দুই সপ্তাহ পরে আবার স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার নোটারী পাবলিক।

৩। প্রথম স্বামীকে দ্বিতীয় বার কোর্ট তালাক দেওয়ার পেপার।

এগুলো পাঠানোর পরেই আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব। আপনি উক্ত পেপারগুলো ছবি তুলে বা স্ক্যান করে মেইলে পাঠিয়ে দিতে পারেন।

Loading