প্রশ্ন : রোযা বা ঈদের চাঁদ দেখা কতটা ভৌগোলিক সীমা পর্যন্ত মান্য? যেমন ধরুন বর্তমানে নিজের এলাকায় চাঁদ দেখা গেল না, কিন্তু পার্শ্ববর্তী বা দূরবর্তী কোন রাজ্য থেকে ফোন বা টিভি মারফত চাঁদের খবর পাওয়া গেল (এবং তা যদি সত্যও হয়) তবে কত দূরের সংবাদ গ্রহণযোগ্য? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জামানায় তো ফোন বা টিভির আবিষ্কার হয়নি? আমার প্রশ্ন হল একটি দেশের যেকোনো রাজ্য থেকে চাঁদ দেখা গেলেই কি রোজা বা ঈদ পালিত হবে? সেই দেশটি আয়তনে বিশাল হলেও? কুরআন বা হাদীসে কোনো সীমারেখা নির্দেশ করা আছে কি? দয়া করে জানাবেন।

উত্তর :

কোন শহরে চাঁদ দেখা দিলে এবং তার খবর শরয়ী পদ্ধতিতে নিকটবর্তী শহরে পৌঁছালে সেখানকার বাসিন্দারাও তদানুযায়ী আমল করবে। দূরবর্তী শহরের বাসিন্দারা নয়। আর নিকটবর্তী ও দূরবর্তীর মাপকাঠি হল যেসব শহরগুলোতে চাঁদ দেখার ব্যাপারে সাধারণত ১/২ দিনের পার্থক্য হয় না তা নিকটবর্তী শহর হিসেবে গণ্য। এ প্রসঙ্গে আল্লামা কাসানী (রহঃ) তার বিখ্যাত ফাতওয়ার কিতাব বাদায়েউস সানায়েতে বলেন-
“চন্দ্রের উদয়স্থলের পার্থক্য নিকটবর্তী শহরের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। নিকটবর্তী শহরের দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ সব এলাকা, যেখানে চাঁদ দেখার ব্যাপারে সাধারণত ১/২ দিনের পার্থক্য হয় না। আর যেসব শহরের মধ্যে চাঁদ দেখার ব্যাপারে ১/২ দিনের পার্থক্য হয়ে থাকে সে সমস্ত এলাকাকে দূরবর্তী এলাকা বলা হয়। সেসব শহরের মধ্যে চন্দ্রের উদয়স্থলের পার্থক্য ধর্তব্য হবে। সেক্ষেত্রে এক শহরে বা দেশে চাঁদ দেখা প্রমানিত হলে, অন্য এলাকার জন্য প্রযোজ্য হবে না”।–বাদায়েউস সানায়ে ২/৮৩
ভবিষ্যতে এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখব ইংশাআল্লাহ।

Loading