প্রশ্ন : হুজুর আসসালামু আলাইকুম। হুজুর আমার ইদানিং এই প্রশ্নগুলো মনে আসছে। হুজুর খুব টেনশন হচ্ছে। আশাকরি উত্তর দিবেন। ১। আমি জানি আল্লাহ সবকিছুর খালিক এবং মালিক। তো আমার মনে প্রশ্ন আসছে তবে কি আল্লাহ জগতের সব মন্দ কাজেরও খালিক এবং মালিক? যেমন কুফর, শিরক, সমস্ত রকমের কুফুরী, শিরকী কাজ এসব কিছুরও সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ? এসব কিছুর মালিকও তিনি? এসব প্রশ্ন আমার মনে কিছুদিন যাবত আসছে। এ ব্যাপারে আমি কি বিশ্বাস করব নাকি চুপচাপ থাকব? আমার শুধু মনে হয় এগুলো না বিশ্বাস করলে ঈমান থাকবে না। আবার মনে হয় এসব বিশ্বাস করলে শিরক হতে পারে। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? ২। এই ধরনের নানা রকম প্রশ্ন ইদানিং আমার মাথায় আসছে। এগুলো কি আমি জানার জন্য সবসময় আলেমদের প্রশ্ন করব নাকি প্রশ্ন করব না? কারন ইসলাম এ কোন কোন ব্যাপারে অতিরিক্ত প্রশ্ন করা নিষেধ করা হয়েছে। ৩। উক্ত ধরনের প্রশ্ন আসলে আমি বলি এবং বিশ্বাস করি এভাবে যে “এসব ব্যাপারে আল্লাহ ও তার রাসূল যা বিশ্বাস করতে বলেছেন আমি তাই বিশ্বাস করলাম”। এতে কি আমার উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে কোরআন ও হাদীসে যা আছে তার প্রতি বিশ্বাস করা হয়ে যাবে? হুজুর উত্তরটা ওয়েবসাইটে না দিয়ে ই-মেইলে দিয়েন। তা না হলে এসব প্রশ্ন দেখে অনেক পাঠকের মনেও ওসওয়াসা শুরু হতে পারে।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

১+৩। হ্যাঁ, সমস্ত গোনাহ সমূহ আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু সৃষ্টি করেছেন উক্ত গোনাহ করার জন্য নয়। বরং গোনাহ সমূহ থেকে বেঁচে থেকে আল্লাহর ওলী হওয়ার জন্য। গোনাহ সৃষ্টি না হলে তো পরীক্ষাই হতো না।

এভাবে বুঝা যেতে পারে চাপাতি, রামদা, বটি ইত্যাদি সৃষ্টি করা হয়েছে গোস্ত বা অন্যান্য ভারি শক্ত বস্তু কাটার জন্য। এখন কেউ যদি বলে এই ধারালো বস্তু কে তৈরি করল? যার ফলে মানুষ খুন হচ্ছে। তবে কি এটা ঠিক হবে? মানুষ খুনের দায় তো তার উপর আসতে পারে না। কেননা সে তো এজন্য তা বানায়নি। অনুরূপভাবে কেউ যদি বলে এই শাহওয়াত আল্লাহ কেন সৃষ্টি করেছেন? যার কারনে মানুষ বিভিন্ন গোনাহে লিপ্ত হচ্ছে। এটাও ভুল। কেননা শাহওয়াত তো আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন তা স্ত্রীর নিকট প্রকাশ করার জন্য। শাহওয়াত না থাকলে স্ত্রীর হক কিভাবে আদায় হত? সারকথা, আল্লাহ তাআলা সকল গোনাহ তৈরি করেছেন তা থেকে বেঁচে থেকে আল্লাহর ওলী হওয়ার জন্য। গোনাহ করার জন্য নয়। তাই আল্লাহ তাআলার জন্য গোনাহ সৃষ্টি বান্দার পক্ষে রহমত।

২। হ্যাঁ, কোন বিষয়ে সংশয় হলে তো আলেমদেরই শরণাপন্ন হতে হবে।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৩৩৬

Loading