প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম হুজুর, জুম’আর ফরজ দুই রাকাআত পড়ে অনেকেই মুনাজাত না করে দাঁড়িয়ে বাদাল জুম’আ পড়তে থাকে। এটি কি জায়েয আছে? কোন বেয়াদবি হয় কিনা? তাড়াহুড়া থাকলে কি করবে?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ফরজ নামাযের পর কোন পার্থক্য না করেই সাথে সাথে সুন্নাত বা নফলের জন্য দাঁড়ানো উচিত নয়। ইস্তেগফার বা হাদীস শরীফে বর্ণিত ছোটখাটো দুআগুলো পড়ে বা সামান্য পার্থক্য করে দাঁড়ানো উচিত। যাতে ফরজ ও নফল নামাযের মাঝে পার্থক্য স্পষ্ট হয়। তবে কারো একান্ত তাড়াহুড়া বা ব্যস্ততা থাকলে ভিন্ন কথা। একদা এক লোক এমনটি করলে-
فَوَثَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ فَأَخَذَ بِمَنْكِبِهِ فَهَزَّهُ ثُمَّ قَالَ اجْلِسْ فَإِنَّهُ لَمْ يَهْلِكْ أَهْلُ الْكِتَابِ إِلاَّ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ بَيْنَ صَلَوَاتِهِمْ فَصْلٌ. فَرَفَعَ النَّبِىُّ -صلى الله عليه وسلم- بَصَرَهُ فَقَالَ أَصَابَ اللَّهُ بِكَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ
অর্থঃ হযরত উমর (রাঃ) তার উপর ঝাপিয়ে পড়লেন। অতঃপর তার কাঁধ ঝাকিয়ে তাকে বসিয়ে দিলেন। তিনি বললেন তোমাদের পূর্বে আহলে কিতাবেরা কেবল এজন্যই ধ্বংস হয়েছে যে, তারা তাদের নামাযে কোন পার্থক্য করতো না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার দিকে তাকিয়ে বললেন হে খাত্তাবের বেটা, আল্লাহ তাআলা তোমার দ্বারা সঠিকই করিয়েছেন।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১০০৯

Loading