প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। ১। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পরে কোন সূরা তেলাওয়াতের আমল আছে কী? থাকলে সেই সুরাগুলি কী কী? ২। ক্বাযা সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে? নাকি যখন যেই ওয়াক্ত ইচ্ছা আদায় করলেই হবে? ৩। তাওবা করার দ্বারা বিগত দিনের ছেড়ে দেওয়া সালাত মাফ হয় না কেন?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুসসালাম
১। আসলে কোন নামাযের পরেই বিশেষ কোন সূরা তিলাওয়াতের কথা হাদীস শরীফে পাওয়া যায় না। হ্যাঁ, দিনের ও রাতের শুরুতে সূরা ইয়াসীন, রাতে সূরা ওয়াকিয়া মুলক হা-মিম সিজদাহ সহ বেশ কিছু সূরার কথা পাওয়া যায়। এগুলো কোন এক নামাযের পরেই পড়তে হবে এমন নয়। তবে নামাযের পরে কিছু ওজীফার কথা হাদীস শরীফে পাওয়া যায়। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পরে সূরা ইখলাছ ফালাক ও নাস পড়ে দম করা, ফজর ও মাগরিবের পর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়া ইত্যাদি।
২। নিম্নোক্ত লিঙ্কের দুই নং প্রশ্নোত্তরে আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ-
http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=1557
৩। আল্লাহ তাআলা মাফ করেন না তাই মাফ হয় না। আর এর কারন বা হেকমত তো আল্লাহ তাআলা জানেন। আমাদেরকে শুধু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে এতটুকু জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নামায ক্বাযা হলে তার জন্য তাওবার পাশাপাশি উক্ত নামায ক্বাযা করতে হবে। আর খোদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরও একাধিকবার ওযরের কারনে নামায ক্বাযা হয়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে তিনি শুধু তাওবা করেননি বরং নামাযগুলো ক্বাযাও করে নিয়েছিলেন।–সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৯২; জামে তিরমিজী, হাদীস নং ১৭৭

Loading