প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম হযরত আমার প্রশ্ন গুলো ইসলাহ হওয়ার জন্য দেওয়া যাতে একটু অন্তর প্রশান্তি দেয়,উত্তরের আশায় থাকলাম:- ১/হযরত আমি ইংলিশ এ অর্নাস কমপ্লিট করছি। এবার মাস্টার্সে ভর্তি হবো, পরিবারের জন্য রিজিকের একটি ব্যবস্থা অনেক জরুরী। কিন্তু হযরত আমি চাচ্ছি হালাল রুজি যেনো হয় যেখানেই করি না কেন।এটা খুঁজতে গিয়ে ওভাবে এখনো মিল হয়নি? কিন্তু পরিবার বুঝতে চায় না। অনেকে মন্দ কথা বলে, এটা সেটা বলে। ব্যাংক, এনজিও, প্রাণ-আর এফ এল এমন আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগ দিচ্ছে আমি এপ্লাই করি না কেন? আমি বলি আবেদন করাও হারাম। তাদেরকে বুঝাতে পারিনা যে ঠিকমত ইবাদত করা যাবেনা, বেপর্দা হবে ইত্যাদি। তাই আমার মনপুত চাকরী কো: সাইড কমের মধ্যে তালাশ করছি। পরিবারকে হযরত কীভাবে বুঝাবো রিজিক আল্লাহ পক্ষ থেকে? ব্যাংক ইত্যাদি এগুলো করা যাবে না? হযরত একটু দোয়া করবেন যেনো আল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি হালাল রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন। নামাজ ইবাদত ঠিকমত করতে পারি। ২/হযরত অনেক আত্মীয় এমন আছে ইবাদত ঠিকমত করেনা, নামায আদায় করেনা। এরা এমন ভাবে যে ইবাদত না করে টাকার মালিক হওয়াই ভালো অবস্থা বুঝায়। আমার রিজিক নেই দেখে এরা কেমন যেন আচরন করে। দুনিয়াদ্বার হয়ে হযরত নিজেকে কীভাবে এই পরিস্থিতিতে সামলাবো? আমি সাধ্যমত ইবাদত করছি আর অন্যরা সারা বছর ইবাদত না করে দুনিয়ায় মত্ত। তাও ওরা কীভাবে পায়? মনে এমন ধারনা আসলে আমার কি গুনাহ হবে? শয়তানের ধোঁকায় কত কি মনে আসে? আমি কি আমল করবো? এদের এহেন ব্যবহারে মাও দেখা যায় এটা সেটা বলে; কিছু করছি না কেন?হালাল -হারাম কি আছে সবাই করছে না! নিজেকে ঈমান এর উপর, আল্লাহর ফিকিরের উপর কিভাবে রাখবো মন হতাশ হলে? জাযাকাল্লাহু খায়রন ফিদ দারাইন।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। এক্ষেত্রে আপনি সবর করতে থাকুন এবং আল্লাহ্ তাআলার কাছে দুআ করতে থাকুন।এর পাশাপাশি হালাল রিজিকের অনুসন্ধান চালিয়ে যান।আল্লাহ্ তাআলা দ্রুত সহজ ও ভালো ব্যবস্থা করে দিবেন ইংশাআল্লাহ।নিম্নের দুআটি বেশী বেশী পড়তে পারেন।
حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ

২। হাদীস শরীফে আছে “যদি দুনিয়ার মূল্য আল্লাহ্‌ তাআলার কাছে একটি মশার পাখার সমতুল্য হত তবে আল্লাহ্‌ তাআলা কোন কাফেরকে এক ঢোক পানি পান করতে দিতেন না”।–সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ২৩২০
উপরোক্ত হাদীস দ্বারা বুঝা যায় দুনিয়াতে অর্থনৈতিক ভাবে ভালো থাকা আল্লাহ্‌ তাআলার সন্তুষ্টি বুঝায় না। বরং যারা মুমিন তাদের বিপদ আপদ আরো বেশী আসবে হাদীস শরীফ দ্বারা এমনটিই বুঝা যায়। কেননা আল্লাহ্‌ তাআলা মুমিনের বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা নিতে থাকেন। তাই আপনি ঈমানের উপর অবিচল থাকুন এবং বদ-দীনদের অবস্থার সাথে নিজেকে মিলাতে থেকে বিরত থাকুন। আর অন্তরে খারাপ কোন চিন্তা এলে এই দুআ পড়বেন-
أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

Loading