প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। কেউ তার স্ত্রীকে রাগের মাথায় ২ বার ৩ তালাক বলেছে। এখন সে বলছে তার হুশ ছিল না। এসময় যদি তার গায়ে আগুন লাগতো তাও সেই হুশ নাকি ছিল না। ২ বার নাকি রাগে ৩ তালাক বলেছে, একবার তার স্ত্রী জোর করে ২য় বার সে নিজ থেকে বলে। এখন তারা ২ জন ইস্তিখারা করেছে। তাদের মনে হচ্ছে তাদের সম্পর্কটা আছে। ইস্তিখারা রেজাল্ট ২জন নাকি বার বার পজিটিভ পাচ্ছে। তার স্ত্রী আল্লাহ কাছে বার বার দুয়া করেছে যদি সম্পর্ক হারাম হয় তাতে যাতে শেষ হয়ে যায়। তারা এমন দুয়া করে ঘুরতেও যায়, যদি সম্পর্ক হারাম হয় তাহলে যাতে ঘুরতে যাওয়া না হয় এভাবে করেছিল দুয়া। তার স্ত্রী অনেক কান্না কাটি করে আল্লাহর কাছে দুয়া করেছে যাতে হারাম হলে সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তারা নাকি প্রতিবার মানে তার স্ত্রী পজিটিভ অনুভব করে সম্পর্কটার ক্ষেত্রে। এখন তারা কি করবে তালাক কি এক্ষেত্রে হয়েছে? ইস্তিখারা এতবার করার পর ও কি শয়তান এর ধোকার সম্ভাবনা আছে।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী উক্ত ব্যক্তির স্ত্রীর উপর তিন তালাকে মুগাল্লাযা পতিত হয়ে স্বামীর জন্য স্থায়ীভাবে হারাম হয়ে গিয়েছেন। শরয়ী হালালাহ ব্যতীত তাদের ঘর সংসার করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম। শরয়ী হালালার সূরত হল, স্ত্রীর ইদ্দত পার হবার পর অন্য কোন পুরুষ তাকে বিবাহ করবে। এরপর তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক (মেলামেশা) হওয়ার পর সে স্বেচ্ছায় স্ত্রীকে তালাক দিবে। অতঃপর তার ইদ্দত পার হবার পর প্রথম স্বামী চাইলে তার সাথে নতুনভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে।

উল্লেখ্য যে, রাগের মাথায় তালাক দিলেও তা পতিত হয়। তাছাড়া ঠাণ্ডা মাথায় কেউ তালাক সাধারণত দেয় না। রাগারাগি হলেই কেবল অধিকাংশ ক্ষেত্রে তালাক দিয়ে থাকে। আর শরয়ী মাসআলার ক্ষেত্রে এরকম মনের সায় বা ইস্তিখারার কোন মূল্য নেই।–সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৩০; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৫৭৯২; রদ্দুল মুহতার ৩/২৯৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৪৭৩; মাজমূআতুল ফাতাওয়া ২/৬৮

Loading