প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। আমি একবার একটি পণ্যের দোকান থেকে একত্রে ২৫০০০/- টাকার একটি পন্য ক্রয় বান্ডেল ক্রয় করি। যা ঐ ভাবেই রেখে দিয়েছি। যাতে মোট ১১ টি জিনিস একত্রে ছিল। যেমন: একটি রাইস কুকার, একটি পানির ফিল্টার, একটি গ্লাস সেট, একটি পেটিস মেকার, একটি গ্লাস সেট, একটি ওভেন, একটি চামচ সেট, একটি রুটি মেকার, একটি বাসন সেট ইত্যাদি। এছাড়া তিনটি ছাগল ও কিছু গৃহপালীত প্রানী আছে। এগুলোই আমার জমানো সম্পদ। এছাড়া প্রায় ২০০০০/- টাকা আমি ঋণ আছি। আর আমি মাসিক বেতন যা পাই তা খরচ হয়ে যায়। আমার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কি?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

১০ যিলহজ ফজর থেকে ১২ যিলহজ সুর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি আপনি ঋনমুক্ত থাকা অবস্থায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমান (যা বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী প্রায় ৪২,০০০ টাকা) সম্পদের মালিক হন তবে আপনার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।

প্রশ্নের বর্ণনা দেখে মনে হয় ঐ বাণ্ডেলের জিনিসগুলো আপনার প্রয়োজনে আসে না। যেহেতু আপনি জিনিসগুলো ঐ ভাবেই রেখে দিয়েছেন। যদি সেগুলো আসলেই প্রয়োজনে না এসে থাকে তবে সেগুলো নেসাবের মধ্যে গণ্য হবে। আর প্রয়োজনে ব্যবহার হলে নেসাবের মধ্যে গণ্য হবে না। অনুরূপভাবে তিনটি ছাগল ও গৃহপালীত প্রানীগুলোও নেসাবের মধ্যে গণ্য হবে। এখন আপনি ঈদের দিনগুলোতে উক্ত জিনিসগুলোর মূল্য থেকে ঋণ বাদ দিবেন। থাকবে ৫০০০ টাকা। সেক্ষেত্রে উক্ত তিনটি ছাগল ও গৃহপালীত প্রানীগুলোর মূল্য যদি ৩৭০০০ টাকা সমপরিমান হয় তবে কুরবানী ওয়াজিব হবে (যদি ঐ দিনগুলোতে নেসাব ৪২০০০ টাকা সমপরিমান হয়ে থাকে)। আর বাণ্ডেলের জিনিসগুলো নিত্যপ্রয়োজনে আসলে সেক্ষেত্রে উক্ত তিনটি ছাগল ও গৃহপালীত প্রানীগুলোর মূল্য যদি ৬২০০০ টাকা হয় তবে তবে কুরবানী ওয়াজিব হবে। কেননা সেক্ষেত্রে ঋণ বাবদ ২০০০০ টাকা বাদ যাবে।

উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত হুকুম ঐ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যখন আপনার প্রশ্নে উল্লেখিত জিনিসগুলো ব্যতীত আর অন্য কোন প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদ না থেকে থাকে।- রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২; বাদাউস সানায়ে ৪/১৯৬

এ ব্যাপারে আপনি আরো বিস্তারিত জানতে নিম্নোক্ত লিঙ্ক ভিজিট করতে পারেন-

http://muftihusain.com/article/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%80/

Loading