প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। হুজুর আমি বলতে চেয়েছি যে, সে সকল মসজিদে জামাআত হয় সেখানে জামাআত স্বাভাবিক ভাবেই হবে । আর সাথে সাথে আমাদেরকে বলেছে যে, আমরাও বিভিন্ন মেসে, যেখানে অনেক ফ্যামিলি ভাড়া থাকে সেখানে গিয়ে গিয়ে জামাআত পড়াবো। এতে যারা মেসে বা ভাড়া বাড়িতে নামায না পড়ে তাদেরও নামায পড়া হলো এবং এতে নাকি আমরা অনেক বেশী সোওয়াব পাবো। বিষয়টি কি এখন স্পষ্ট হয়েছে, যদি না হয়ে থাকে তবে অনুগ্রহ করে জানালে বা প্রশ্ন করলে পুনরায় উত্তর দিবে। ইংশাআল্লাহ।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
এই প্রশ্নটি মূলত একটি সম্পূরক প্রশ্ন। যা অন্য একটি প্রশ্নোত্তর থেকে তৈরি হয়েছে। প্রথমে সেটি উল্লেখ করা হল-
(প্রশ্নঃ আসসালামু আলাইকুম। আমি যে বাসায় ভাড়া থাকি সেটা একটি হুজুরের। তিনি এই বাড়িতেই ছোট পরিসরে মাদ্রাসার মত বড়দের পড়ান। তিনি আমাদের সূরা কেরাত মোটামুটি সহীহ করিয়ে ফেলেছেন। এখন তিনি বলছেন এলাকায় বা মহল্লায় একটি মসজিদ নির্দিষ্ট থাকবে এবং সেখানে একটি বড় জামাআতের সময় নির্ধারিত থাকবে এবং লোকজন সেখানে নামায পড়বে। এটা উত্তম। আর আপনারা আশে পাশে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট জামাআতে লোকদেরকে নামায পড়ান। এভাবে আরো ছোট ছোট অনেক জামাআত হবে। এটা নাকি সুন্নাত। এতে করে যারা নামায পড়ে না তাদের নামায পড়া হবে এবং আমরা মসজিদে গিয়ে নামায পড়লে যে ছাওয়াব পেতাম তার থেকে বেশী ছাওয়াব পাব। বিষয়টি আপনার কাছ থেকে ফয়সালা আশা করছি। আপনি যা ফয়সালা দিবে সেটাই মানবো।
উত্তর : ওয়া আলাইকুমুস সালাম
প্রশ্নটি ভালোকরে বুঝিনি। যদি এটা উদ্দেশ্য হয় যে, একটি মসজিদে শুধু জামাআত হবে। আর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মানুষ নামাযী বাড়ানোর উদ্দেশ্যে খণ্ড খণ্ড জামাআত কায়েম করবে তবে এটা অনেক বড় গোমরাহী হবে। তাহলে বাকী মসজিদগুলো কি বিরান হয়ে যাবে? এটা তো মুসলমানদের ঐক্য নষ্ট করে তাদেরকে একাধিক দলে বিভক্ত করার শামিল। যে মসজিদের জামাআতে সাহাবায়ে কেরামকে একত্রিত নামায পড়তে দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুশি প্রকাশ করেছেন তার বিপরীতে সকলকে মসজিদে না এনে নামাযে বিভক্ত করা কিভাবে সুন্নাত হতে পারে? তাহলে কি মসজিদে নববীতে কিছু সাহাবায়ে কেরাম আসতেন আর বাকীরা সবাই বিভিন্ন স্থানে জামাআত করে বেড়াতেন? এর কি কোন প্রমান আছে? বরং যারা মসজিদে জামাআতে আসতো না তাদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَتُقَامَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً فَيُصَلِّىَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَنْطَلِقَ مَعِى بِرِجَالٍ مَعَهُمْ حُزَمٌ مِنْ حَطَبٍ إِلَى قَوْمٍ لاَ يَشْهَدُونَ الصَّلاَةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ بِالنَّارِ
অর্থঃ আমার ইচ্ছা হয় আমি নামায কায়েম করতে আদেশ করি। অতঃপর কাউকে মানুষকে নিয়ে নামায পড়ানোর নির্দেশ দিই। এরপর আমি কাঠের জ্বালানি সহ কিছু লোককে নিয়ে তাদের নিকট যাই যারা মসজিদে জামাআতে হাজির হয় না। অতঃপর তাদের বাড়িঘর আগুনে জ্বালিয়ে দিই।–সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫১৪)

মূল উত্তরঃ না, প্রশ্নে উল্লেখিত কারনে মসজিদে জামাআত ছেড়ে দেওয়া জায়েয হবে না। বরং তাদেরকে মসজিদের জামাআতের আগে বা পরে নামাযের দাওয়াত দিবে।

Loading