প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একজন সাহাবী স্বচক্ষে দাজ্জালকে দেখেছিলেন বলে একটি হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি কতটুকু সহীহ? এবং হাদীসটি কি?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
হ্যাঁ, হাদীসটা সহীহ। সহীহ মুসলিম, সুনানে আবূ দাউদসহ বিভিন্ন হাদীসের কিতাবে হাদীসটি রয়েছে। হাদীসটি নিম্নরূপ-
عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ قَالَ سَمِعْتُ نِدَاءَ الْمُنَادِى مُنَادِى رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يُنَادِى الصَّلاَةَ جَامِعَةً. فَخَرَجْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَصَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فَكُنْتُ فِى صَفِّ النِّسَاءِ الَّتِى تَلِى ظُهُورَ الْقَوْمِ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- صَلاَتَهُ جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَضْحَكُ فَقَالَ « لِيَلْزَمْ كُلُّ إِنْسَانٍ مُصَلاَّهُ ثُمَّ قَالَ « أَتَدْرُونَ لِمَ جَمَعْتُكُمْ ». قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ.قَالَ « إِنِّى وَاللَّهِ مَا جَمَعْتُكُمْ لِرَغْبَةٍ وَلاَ لِرَهْبَةٍ وَلَكِنْ جَمَعْتُكُمْ لأَنَّ تَمِيمًا الدَّارِىَّ كَانَ رَجُلاً نَصْرَانِيًّا فَجَاءَ فَبَايَعَ وَأَسْلَمَ وَحَدَّثَنِى حَدِيثًا وَافَقَ الَّذِى كُنْتُ أُحَدِّثُكُمْ عَنْ مَسِيحِ الدَّجَّالِ حَدَّثَنِى أَنَّهُ رَكِبَ فِى سَفِينَةٍ بَحْرِيَّةٍ مَعَ ثَلاَثِينَ رَجُلاً مِنْ لَخْمٍ وَجُذَامَ فَلَعِبَ بِهِمُ الْمَوْجُ شَهْرًا فِى الْبَحْرِ ثُمَّ أَرْفَئُوا إِلَى جَزِيرَةٍ فِى الْبَحْرِ حَتَّى مَغْرِبِ الشَّمْسِ فَجَلَسُوا فِى أَقْرُبِ السَّفِينَةِ فَدَخَلُوا الْجَزِيرَةَ فَلَقِيَتْهُمْ دَابَّةٌ أَهْلَبُ كَثِيرُ الشَّعَرِ لاَ يَدْرُونَ مَا قُبُلُهُ مِنْ دُبُرِهِ مِنْ كَثْرَةِ الشَّعَرِ فَقَالُوا وَيْلَكِ مَا أَنْتِ فَقَالَتْ أَنَا الْجَسَّاسَةُ. قَالُوا وَمَا الْجَسَّاسَةُ قَالَتْ أَيُّهَا الْقَوْمُ انْطَلِقُوا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فِى الدَّيْرِ فَإِنَّهُ إِلَى خَبَرِكُمْ بِالأَشْوَاقِ. قَالَ لَمَّا سَمَّتْ لَنَا رَجُلاً فَرِقْنَا مِنْهَا أَنْ تَكُونَ شَيْطَانَةً – قَالَ – فَانْطَلَقْنَا سِرَاعًا حَتَّى دَخَلْنَا الدَّيْرَ فَإِذَا فِيهِ أَعْظَمُ إِنْسَانٍ رَأَيْنَاهُ قَطُّ خَلْقًا وَأَشَدُّهُ وِثَاقًا مَجْمُوعَةٌ يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ مَا بَيْنَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى كَعْبَيْهِ بِالْحَدِيدِ قُلْنَا وَيْلَكَ مَا أَنْتَ قَالَ قَدْ قَدَرْتُمْ عَلَى خَبَرِى فَأَخْبِرُونِى مَا أَنْتُمْ قَالُوا نَحْنُ أُنَاسٌ مِنَ الْعَرَبِ رَكِبْنَا فِى سَفِينَةٍ بَحْرِيَّةٍ فَصَادَفْنَا الْبَحْرَ حِينَ اغْتَلَمَ فَلَعِبَ بِنَا الْمَوْجُ شَهْرًا ثُمَّ أَرْفَأْنَا إِلَى جَزِيرَتِكَ هَذِهِ فَجَلَسْنَا فِى أَقْرُبِهَا فَدَخَلْنَا الْجَزِيرَةَ فَلَقِيَتْنَا دَابَّةٌ أَهْلَبُ كَثِيرُ الشَّعَرِ لاَ يُدْرَى مَا قُبُلُهُ مِنْ دُبُرِهِ مِنْ كَثْرَةِ الشَّعَرِ فَقُلْنَا وَيْلَكِ مَا أَنْتِ فَقَالَتْ أَنَا الْجَسَّاسَةُ.
قُلْنَا وَمَا الْجَسَّاسَةُ قَالَتِ اعْمِدُوا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فِى الدَّيْرِ فَإِنَّهُ إِلَى خَبَرِكُمْ بِالأَشْوَاقِ فَأَقْبَلْنَا إِلَيْكَ سِرَاعًا وَفَزِعْنَا مِنْهَا وَلَمْ نَأْمَنْ أَنْ تَكُونَ شَيْطَانَةً فَقَالَ أَخْبِرُونِى عَنْ نَخْلِ بَيْسَانَ قُلْنَا عَنْ أَىِّ شَأْنِهَا تَسْتَخْبِرُ قَالَ أَسْأَلُكُمْ عَنْ نَخْلِهَا هَلْ يُثْمِرُ قُلْنَا لَهُ نَعَمْ. قَالَ أَمَا إِنَّهُ يُوشِكُ أَنْ لاَ تُثْمِرَ قَالَ أَخْبِرُونِى عَنْ بُحَيْرَةِ الطَّبَرِيَّةِ. قُلْنَا عَنْ أَىِّ شَأْنِهَا تَسْتَخْبِرُ قَالَ هَلْ فِيهَا مَاءٌ قَالُوا هِىَ كَثِيرَةُ الْمَاءِ. قَالَ أَمَا إِنَّ مَاءَهَا يُوشِكُ أَنْ يَذْهَبَ. قَالَ أَخْبِرُونِى عَنْ عَيْنِ زُغَرَ. قَالُوا عَنْ أَىِّ شَأْنِهَا تَسْتَخْبِرُ قَالَ هَلْ فِى الْعَيْنِ مَاءٌ وَهَلْ يَزْرَعُ أَهْلُهَا بِمَاءِ الْعَيْنِ قُلْنَا لَهُ نَعَمْ هِىَ كَثِيرَةُ الْمَاءِ وَأَهْلُهَا يَزْرَعُونَ مِنْ مَائِهَا. قَالَ أَخْبِرُونِى عَنْ نَبِىِّ الأُمِّيِّينَ مَا فَعَلَ قَالُوا قَدْ خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ وَنَزَلَ يَثْرِبَ. قَالَ أَقَاتَلَهُ الْعَرَبُ قُلْنَا نَعَمْ. قَالَ كَيْفَ صَنَعَ بِهِمْ فَأَخْبَرْنَاهُ أَنَّهُ قَدْ ظَهَرَ عَلَى مَنْ يَلِيهِ مِنَ الْعَرَبِ وَأَطَاعُوهُ قَالَ لَهُمْ قَدْ كَانَ ذَلِكَ قُلْنَا نَعَمْ. قَالَ أَمَا إِنَّ ذَاكَ خَيْرٌ لَهُمْ أَنْ يُطِيعُوهُ وَإِنِّى مُخْبِرُكُمْ عَنِّى إِنِّى أَنَا الْمَسِيحُ وَإِنِّى أُوشِكُ أَنْ يُؤْذَنَ لِى فِى الْخُرُوجِ فَأَخْرُجَ فَأَسِيرَ فِى الأَرْضِ فَلاَ أَدَعَ قَرْيَةً إِلاَّ هَبَطْتُهَا فِى أَرْبَعِينَ لَيْلَةً غَيْرَ مَكَّةَ وَطَيْبَةَ فَهُمَا مُحَرَّمَتَانِ عَلَىَّ كِلْتَاهُمَا كُلَّمَا أَرَدْتُ أَنْ أَدْخُلَ وَاحِدَةً أَوْ وَاحِدًا مِنْهُمَا اسْتَقْبَلَنِى مَلَكٌ بِيَدِهِ السَّيْفُ صَلْتًا يَصُدُّنِى عَنْهَا وَإِنَّ عَلَى كُلِّ نَقْبٍ مِنْهَا مَلاَئِكَةً يَحْرُسُونَهَا قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- وَطَعَنَ بِمِخْصَرَتِهِ فِى الْمِنْبَرِ « هَذِهِ طَيْبَةُ هَذِهِ طَيْبَةُ هَذِهِ طَيْبَةُ ». يَعْنِى الْمَدِينَةَ « أَلاَ هَلْ كُنْتُ حَدَّثْتُكُمْ ذَلِكَ ». فَقَالَ النَّاسُ نَعَمْ « فَإِنَّهُ أَعْجَبَنِى حَدِيثُ تَمِيمٍ أَنَّهُ وَافَقَ الَّذِى كُنْتُ أُحَدِّثُكُمْ عَنْهُ وَعَنِ الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ أَلاَ إِنَّهُ فِى بَحْرِ الشَّامِ أَوْ بَحْرِ الْيَمَنِ لاَ بَلْ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ ما هُوَ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ مَا هُوَ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ مَا هُوَ ». وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ إِلَى الْمَشْرِقِ.
অনুবাদ: হযরত ফাতেমা বিনতে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ঘোষককে এই ঘোষণা দিতে শুনতে পাই আসসালাতু জামেআ (অর্থাৎ নামাযের জন্য উপস্থিত হয়ে যাও)। সুতরাং আমি মসজিদে চলে গেলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গে নামায আদায় করলাম। নামায শেষ করে তিনি মিম্বরে উপবিষ্ট হলেন এবং মৃদু হেসে বললেন প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ নামাজের স্থানে বসে থাক। অতঃপর বললেন, তোমরা কি জান, আমি তোমাদেরকে কেন একত্রিত করেছি? সাহাবীগণ (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই অধিক জানেন। তিনি বললেন, আল্লাহ তা’য়ালার কসম! আমি তোমাদেরকে কিছু দেওয়ার জন্য বা কোন ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য সমবেত করিনি; বরং তামীমে দারীর বর্ণিত একটি ঘটনা শুনানোর জন্যই তোমাদেরকে একত্রিত করেছি। তামীমে দারী ছিলেন একজন খ্রিষ্টান, তিনি (আমার নিকট) এসে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তিনি আমাকে এমন একটি ঘটনা শুনিয়েছেন, এটা ঐ কথারই সঙ্গে মিল রাখে যা অঅমি তোমাদেরকে মাসীহে দাজ্জাল সম্পর্কে বলেছিলাম। তিনি বলেছেন, একবার তিনি ‘লাখাম ও জুযাম’ গোত্রের ত্রিশজন লোকের সঙ্গে একটি সামুদ্রিক নৌকায় সফরে বের হয়েছিলেন। সাগরের তরঙ্গ তাদেরকে দীর্ঘ একমাস পর্যন্ত এদিক-সেদিক ঘুরাতে ঘুরাতে অবশেষে একদিন সূর্যাস্তের সময় একটি দ্বীপের কাছে নিয়ে পৌছাল। অতঃপর তারা (উক্ত বড় নৌকার গায়ের সাথে বাঁধা) ছোট ছোট নৌকা যোগে দ্বীপটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন এবং সেখানে তারা এমন একটি জানোয়ারের সাক্ষাৎ পেলেন যার সারা দেহ বড় বড় পশমে ঢাকা। অধিক পশমের কারণে তার অগ্র-পশ্চাৎ কিছুই নির্নয় করা যায়নি। তখন তারা তাকে লক্ষ করে বললেন, তোর অমঙ্গল হোক! তুই কে? সে বলল, আমি ‘জাস্সাসা’ (অর্থাৎ গুপ্ত সংবাদ অন্বেষণকারিনী)। তোমরা এ গির্জায় (আবদ্ধ) লোকটির নিকট যাও, সে তোমাদের তথ্যাদি শুনার ও জানার প্রত্যাশী। তামীমে দারী বলেন, উক্ত জন্তুর কাছে লোকটির কথা শুনে তার প্রতি আমাদের অন্তরে ভীতি সঞ্চার হলো যে, তা শয়তান হতে পারে। তখন আমরা দ্রুত সেখানে গেলাম এবং গির্জায় প্রবেশ করে সেখানে এমন একটি প্রকান্ড দেহবিশিষ্ট মানুষ দেখতে পেলাম ইতঃপূর্বে যা আমরা আর কখনো দেখতে পাইনি। সে ছিল খুব শক্তভাবে বাঁধা অবস্থায়, তার হাত ঘাড়ের সাথে এবং হাঁটুদ্বয় নিচের উভয় গিটের সাথে লৌহশিকল দ্বারা একত্রে বাঁধা ছিল। আমরা তাকে বললাম, তোর অমঙ্গল হোক! তুই কে? সে বলল, নিশ্চয়ই তোমরা আমার সম্পর্কে জানতে পারবে, (আমি তা গোপন করব না,) তবে তোমরা প্রথমে আমাকে বল দেখি তোমরা কে? তারা বললেন আমরা আরবের লোক। আমরা সমুদ্রে একটি নৌকায় আরোহী ছিলাম দীর্ঘ একমাস সাগরের ঢেউ আমাদেরকে এদিক-সেদিক ঘুরিয়ে এখানে এনে পৌছিয়েছে। অতঃপর আমরা অত্র দ্বীপে প্রবেশ করার পর সারা দেহ ঘন পশমে আবৃত এমন একটি জন্তুর সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হলো। সে বলল, আমি ‘জাস্সাসা’। সে আমাদেরকে এ গির্জায় আসতে বলায় আমরা দ্রুত তোমরা নিকটে এসে উপস্থিত হয়েছি। সে বলল, আচ্ছা তোমরা আমাকে বল দেখি! ‘বায়সান’ এলাকার খেজুর বাগানে ফল আসে কি? (বায়সান হেজাজের একটি জায়গার নাম।) আমরা বললাম, হ্যাঁ, আসে। সে বলল, অদূর ভবিষ্যতে সেই বাগানের গাছে ফল ধরবে না। অতঃপর সে বলল, আচ্ছা বল দেখি! ‘তাবারিয়া’- এর নদীতে কি পানি আছে? আমরা বললাম, হ্যাঁ, তাতে প্রচুর পরিমাণে পানি আছে। সে বলল, অচিরেই তার পানি শুকিয়ে যাবে। এবার সে জিজ্ঞাসা করল, আচ্ছা বল দেখি! ‘যোগার’ ঝরনায় পানি আছে কি? এবং সেখানকার অধিবাসীগন কি উক্ত ঝরনার পানি দ্বারা তাদের ক্ষেত-খামারে ফসলাদি উৎপাদন করে? আমরা বললাম, হ্যাঁ, তাতে প্রচুর পরিমানে পানি আছে এবং সেখঅনকার বাসিন্দাগণ তার পানি দ্বারা ক্ষেত-খামারে চাষাবাদ করে। অতঃপর সে জিজ্ঞাসা করল, আচ্ছা বল দেখি! উম্মিদের নবীর সংবাদ কী? আমরা বললাম, তিনি মক্কা হতে হিজরত করে বর্তমান ইয়অছরেব (মদিনায়) অবস্থান করছেন। সে জিজ্ঞাসা করল, বল দেখি! আরবরা কি তার সাথে লড়াই করেছিল? আমরা বললাম, হ্যাঁ, করেছে। সে জিজ্ঞাসা করল, তিনি (সে নবী) তাদের সাথে কি আচরণ করেছেন? এর উত্তরে আমরা বললাম যে, তাঁর আশে পাশের আরবদের উপরে তিনি বিজয়ী হয়েছেন এবং তারা তাঁর আনুগত্য স্বীকার করেছে। এতদ্রশ্রবণে সে বলল, তোমরা জেনে রাখ! তাঁর আনুগত্য করাই তাদের পক্ষে মঙ্গলজনক হয়েছে। আচ্ছা এবার আমি আমার অবস্থা বর্ণনা করছি- আমি মাসীহে দাজ্জাল, অদূর ভবিষ্যতে আমাকে বের হওয়ার অনুমতি প্রদান করা হবে। আমি বের হয়ে জমিনে বিচরণ করব। মক্কা-মদিনা ব্যতীত এমন কোন জনপদ বাকি থাকবে না, যেখানে আমি চল্লিশ দিনের মধ্যে প্রবেশ করব না। সেই দু স্থানে প্রবেশ করা আমার উপরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যখনই আমি তার একটিতে প্রবেশ করতে চাইব, তখন মুক্ত তরবারি হাতে ফেরেশতা এসে আমাকে প্রবেশ করা হতে বাধা প্রদান করবে। বস্তুত তার প্রতিটি প্রবেশ পথে ফেরেশতা পাহারারত রয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, এ পর্যন্ত বর্ণনা করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপন লাঠি দ্বারা মিম্বরে টোকা দিয়ে বললেন, এটা তাইবাহ, এটা তাইবাহ, এটা তাইবাহ। অর্থ্যাৎ মদিনা। অতঃপর তিনি বললেন, বল দেখি! ইতঃপূর্বে আমি কি তোমাদেরকে এ হাদীস বর্ণনা করিনি? লোকেরা বলল জী হ্যাঁ। অতঃপর তিনি বললে, দাজ্জাল সিরিয়ার কোন এক সাগরে অথবা ইয়েমেনের কোন এক সাগরে আছে। পরে বললেন, না, বরং সে পূর্বদিক হতে আগমন করবে। এ বলে তিনি হাত দ্বারা পূর্বদিকে ইশারা করলেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৫৭৩
عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ قالت كَانَ يُحَدِّثُنِيهِ تَمِيمٌ الدَّارِىُّ عَنْ رَجُلٍ كَانَ فِى جَزِيرَةٍ مِنْ جَزَائِرِ الْبَحْرِ فَإِذَا أَنَا بِامْرَأَةٍ تَجُرُّ شَعْرَهَا قَالَ مَا أَنْتِ قَالَتْ أَنَا الْجَسَّاسَةُ اذْهَبْ إِلَى ذَلِكَ الْقَصْرِ فَأَتَيْتُهُ فَإِذَا رَجُلٌ يَجُرُّ شَعْرَهُ مُسَلْسَلٌ فِى الأَغْلاَلِ يَنْزُو فِيمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ فَقُلْتُ مَنْ أَنْتَ قَالَ أَنَا الدَّجَّالُ
অনুবাদ: হযরত ফাতেমা বিনতে কায়স (রাঃ) তামীমে দারীর (রাঃ) ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, তামীমে দারী (রাঃ) বলেছেন, সেই দ্বীপে প্রবেশ করলে আমি সেখানে একটি নারীর সাক্ষাৎ পেলাম যার মাথার চুল এত যে, তা জমিনে হিচড়িয়ে চলে। তামীম জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কে? সে বলল, আমি ‘জাসসাসা’ (অর্থাৎ অন্বেষণকারিণী)। অতঃপর সে বলল তুমি প্রসাদের দিকে যাও। সুতরাং আমি সেখানে আসলাম সেখানে লম্বা লম্বা চুল বিশিষ্ট এমন এক ব্যক্তিকে দেখলাম যে, শক্তভঅবে লোহার শিকলে বাঁধা- আসমান জমিনের মাঝখানে লাফালাফি করছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম তুই কে? সে বলল আমি দাজ্জাল।–সুনানে আবূ দাঊদ, হাদীস নং ৪৩২৭

Loading