প্রশ্ন : হযরত আপনার যাকাত আলোচনা থেকে জানতে পারলাম ঋণ ও পাওনা কাটাকাটি হয়ে যাবে। ধরুন একজন ১০ লাখ টাকা ৫ বছর মেয়াদি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধের চুক্তিতে ব্যাংক থেকে ১৫% সুদে ব্যক্তিগত বা ব্যবসার জন্য লোন করলেন এবং লোন নেবার পর সাহেবে নিসাব হলেন। তার বৎসরিক কিস্তি আসে ২,৮৫,৪৬৮; ৫ বছরে দিতে হবে মোট ১৪,২৭,৩৪০; তার বাৎসরিক সুদ ৮৫,৪৬৮; ৫ বছরে মোট সুদ ৪,২৭,৩৪০ টাকা। উক্ত হিসাব থেকে তাকে কত টাকার উপর যাকাত দিতে হবে? দিতে হলে কবে থেকে আদায় করবে? যদি চুক্তি এমন হত, কিস্তি নয়, একবারে ৫ বছর পর গিয়ে টাকা পরিশোধ করলে হবে, তাহলে যাকাত কিভাবে আসবে? জানালে খুশি হবো। জাযাকুমুল্লাহ খাইরন

উত্তর :

যদি সে উক্ত টাকা ব্যক্তিগত নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য লোন করে থাকে তবে তার যাকাত আসবে না। তবে ব্যবসার জন্য লোন করে থাকলে টাকাটি হস্তগত হবার পর সে নেসাবের মালিক সাব্যস্ত হবে। পরবর্তী এক বছর পর যদি সে মাসিক কিস্তি সময়মত আদায় করে থাকে তবে তার নিকট যে টাকা থাকবে তার যাকাত আদায় করবে। আর পূর্ববর্তী বছরে কোন কিস্তি না দিয়ে থাকলে সে পরিমান বিয়োগ করবে। অর্থাৎ যাকাতের হিসাব থেকে বারটি মাসিক কিস্তি বাদ যাবে। কেননা সে যাকাতের এই অর্থ বছরে মূলত ঐ টাকাটাই (২,৮৫,৪৬৮) ঋণী। কাজেই শুধু সেটাই বাদ যাবে।
মোটকথা, ঠিক এক বছরের মাথায় ব্যাংকের বারটি মাসিক কিস্তি আদায়ের পর তার নিকট যে টাকা থাকবে তার যাকাত আদায় করবে।–ফাতহুল কদীর ২/১১৯, ১২০; রদ্দুল মুহতার ২/৫
উল্লেখ্য যে, সূদী লোন নেওয়া জঘন্যতম গুনাহ। একান্ত অপারগতা ব্যতীত তা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেকের কর্তব্য।

Loading