প্রশ্ন : আমরা ১৫ বছর বিবাহিত। আমাদের একটা ১০ বছরের ছেলে ও একটা ৩ বছরের মেয়ে আছে। আমার স্ত্রী পরকীয়াতে আসক্ত। সে সব সময় অতিরিক্ত মেকআপ দিয়া বাইরে যেতে পছন্দ করে। সবসময় ছেলেদের সাথে কথা বলতে পছন্দ করে। অনেকবার না করার পরও সে বদলাচ্ছে না। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে এবং আমাকেও নামায পড়ার জন্য উৎসাহিত করে। কিন্তু সে যেহেতু গৃহিণী তাই আমি যখন অফিস এ যাই তখন অন্য ছেলেদের ফোন করে এবং তাদের সাথে বাইরে দেখা করে। অন্য ছেলেদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতেও পারে কিন্তু আমার কাছে কোন প্রমান নেই। এখন আমি আমাদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তালাক দিতে চাচ্ছি না। কিন্তু তার অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করারও কোন উপায় পাচ্ছি না। আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ি। আমার এখন কি করা উচিৎ? আমি অনেকবার তাকে অনেক ভালবাসা দিয়ে দেখেছি সে পরিবর্তন হচ্ছে না। একজন আদর্শ স্বামীর যা যা করনীয় আমি সব করি কিন্তু আমার কপাল খারাপ। আল্লাহ কে ডাকা অথবা তালাক দেওয়া ছাড়া আমার আর কোন উপায় দেখছি না। দয়া করে জানাবেন যদি কোন উপায় থাকে। আমি সত্যি তালাক চাই না। আল্লাহ হাফেয

উত্তর :

প্রথমে দেখা দরকার আপনার কথাগুলো বাস্তবে ধারনাপ্রসুত বা শুধুই সন্দেহ কিনা? অবাস্তব হলে তো সমাধান হয়েই গেল। আর যদি বাস্তব হয় তবে আপনি আলেমদের সাথে পরামর্শ করে তাকে নিয়মিত নসীহাত শুনাতে পারেন। এর পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত তালীম চালু করুন। আসলে আমরা আমাদের ঘরের মহিলাদের ব্যাপারে শুধুই অভিযোগ করি কিন্তু তাদের তালীমের কোন ব্যবস্থা আমরা করি না। কোন নির্ভরযোগ্য আলেমদের মজলিস আশপাশে কোথাও হলে পর্দার সাথে সেখানে নিয়ে যেতে পারেন। অথবা আপনিও আপনার বাসায় এ ধরনের (ওয়াজ-নসীহাতের) আয়োজন করতে পারেন।
এর পাশাপাশি মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে কিছু কড়াকড়ি আরোপ করতে পারেন। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনার পরিবারস্থ কোন মহিলাকে (যেমন আপনার মা, বোন, শাশুড়ি ইত্যাদি) আপনার বাসায় এনে কিছুদিন রাখতে পারেন। আপনি তাকে বাইরে যেতে এবং কারো সাথে কথা বলতে সম্পূর্ণ নিষেধ করে দিবেন। আর তিনি লক্ষ্য রাখবেন সে বাইরে যায় কিনা বা কারো সাথে কথা বলে কিনা। এর পাশাপাশি দুআ চালিয়ে যান। সব ঠিক হয়ে যাবে ইংশাআল্লাহ।

Loading