প্রশ্ন :

উত্তর :

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
Muftihusain.com পরিবারের সকলকে আন্তরিক মুবারকবাদ। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে মাফ করে দিন। এতটুকু তো খুব অনায়াসেই অনুভব করি যে, Muftihusain.com পরিবারের প্রত্যেক পাঠকই আমাকে খুব ভালোবাসেন। যার মূল নিয়ামক হয়তোবা একটিই, আর তা হল ইসলামী ভ্রাতৃত্ব। হাদীস শরীফে আছে, যারা আল্লাহ তাআলার জন্যই একে অপরকে ভালোবাসে তাদেরকে আল্লাহ তাআলা এমন দিনে আরশের ছায়াতলে রাখবেন যেদিন আল্লাহর আরশের ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া থাকবে না। আমারো সবার জন্য রয়েছে লৌকিকতা মুক্ত ভালোবাসা। কেননা এই পাঠকেরাই হয়তোবা রোজ হাশরে আমার নাজাতের ওসীলা হবেন। নিজের তো কোন আমলই নেই। বাস্তবেই বলছি, আল্লাহ তাআলাকে হাজির নাযির জেনেই বলছি, তাছাড়া আমিই তো আমাকে খুব ভালো চিনি, আসলেই তেমন কোন আমলই আমার নেই। তবে কিছু আমল ওয়ালাকে আমলের পথ ও পদ্ধতি বাতলে দিতেই আমার এই প্রয়াস। যাতে তাদের আমলের ছাওয়াবের একটি অংশ আমিও পেয়ে যাই।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, আমাদের এই ভালোবাসা সম্পূর্ণ অদেখা অচেনা। দুই একজন ব্যতীত সকলের সাথে আমার না আছে কোন সাক্ষাত আর না আছে কোন কথা। সাইটে কোথাও ফোন নাম্বার সঙ্গত কারনেই দিইনি। একতো বহুমুখী ব্যস্ততা এরপরে বড় কারন হল, ফোন নাম্বার দিলে অনেকেই দ্রুত জবাবের আশায় হয়তোবা ফোন-ই করবেন। সেক্ষেত্রে অন্যদের বিষয়টি জানা হবে না। এই রমযানে একটি বিকাশ নাম্বার দিলেও তার ইনকামিং কল বেয়ারিং করা ছিল। তবে একসময় প্রশ্নের আধিক্যের কারনে হয়তোবা ফোন নাম্বার না দিয়েও পারবো না।

যাই হোক, সঙ্গত কারনে এবার মাদ্রাসার দ্বীনী কাজে আপনাদেরও শরীক করেছিলাম। আমিতো রীতিমত আপ্লূত, আমার নাচেনা দ্বীনী ভাইয়েরা এভাবে এগিয়ে আসবেন ভাবতেও পারিনি। আবার অনেকে মনে করেন এভাবে হয়তোবা লক্ষ লক্ষ টাকা এসেছে। তাই ভাবলাম, তারও একটি সমাচার আপনাদের সামনে তুলে ধরি।

আসলে ওয়েবসাইট চালু হওয়ার পর থেকে নিয়ে এ রমযানের পূর্ব পর্যন্ত Muftihusain.com পরিবারের মাধ্যমে মাদরাসার জন্য মোট এসেছিল ৬৫০ টাকা। আর এ রমযানে-
১। রাইহান নামের এক ভাই দিয়েছেন ৫০০০ টাকা (কিতাব ক্রয় বাবদ)+ ৪০০০ টাকা (যাকাত বাবদ)=মোট ৯০০০ টাকা
২। ইকবাল ভাই নামের একজন যাকাত বাবদ দিয়েছেন ৫০০০ টাকা
৩। রাহাত নামের এক ভাই কিতাব ক্রয় বাবদ দিয়েছেন ৩০০০ টাকা
অনিচ্ছা সত্ত্বেও নাম দিলাম। জায়গার নাম না দেওয়াতে কেউ হয়তোবা চিনবে না। এই নামে তো কত মানুষই রয়েছে। তাছাড়া আরেকটি কারন হল, অনেকেই হয়তোবা দুআও করতে পারেন আপনাদের জন্য।

আজ অবধি এই মোট ১৭৬৫০ টাকা হয়েছে আপনাদের মাধ্যমে। যার ১৭০০০ টাকা এই রমযানেই হয়েছে। আর কিছু টাকা হয়েছে আমার পরিচিতদের মাধ্যমে। সর্বসাকুল্যে বর্তমান মাদরাসার ঋণ রয়েছে ৭৯০১২ টাকা। সবার নিকট দুআর আবেদন রইল।

আরেকটি মাযেরাত হল, অনেকেই দ্রুত প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে হয়তোবা মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন। আসলে প্রশ্নের আধিক্যের কারনে পেরে উঠি না। এজন্য সকলের নিকট ক্ষমাপ্রার্থী।

Loading