প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, বালাগল উলা বি কামালিহী, এই কবিতাটা অনেক বড় বড় আলেমেরাও পড়ে থাকেন, কিন্তু একজন আলেম বললেন যে, এই কবিতা পড়া যাবে না। কারণ- এর অর্থ হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শীর্ষে পৌঁছে গেলেন নিজের যোগ্যতায়। কথাটা নাকি ভুল, আল্লাহর রহমত ও দয়া ছাড়া তিনি কখনই শ্রেষ্ঠ মানুষ হতে পারতেন না। যারা এটা পড়ে তাদেরকে সূরা দোহার ৭নং আয়াতের ব্যাখ্যা করতে বলেন। তাহলে এই কবিতা পড়া কি জায়েয হবে না ? আর যেসব আলেমরা পড়ে তাদের কি হুকুম ?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
প্রত্যেকটি জিনিসের একটি বাহ্যিক সাবাব(কারন) থাকে। যদিও সব কিছু আল্লাহ্‌ তাআলার দয়া, করুণা, রহমত ও ইচ্ছায় হয়ে থাকে। এখন কোন মুমিন যদি এই বাহ্যিক সাবাবের দিকে তাকিয়ে কোন কথা বলে তবে তা শিরকের আওতায় পড়বে না কেননা মুমিনের অন্তরে সর্বদা তাওহীদ থাকে। এজন্যই তো জবাই করার সময় বিসমিল্লাহ্‌ বলতে ভুলে গেলে তা খাওয়া হালাল। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন মুমিনের অন্তরে সর্বদা আল্লাহর নাম থাকে। খোদ কুরআনে আল্লাহ্‌ তাআলা একাধিক জায়গায় বলেছেন মুমিনেরা তাদের আমলের বিনিময়ে জান্নাতে যাবে। দেখুন সূরা আরাফ, আয়াত ৪৩; সূরা নাহল, আয়াত ৩২; সূরা যুখরুফ, আয়াত ৭২। এখন কথা হল কেউ কি তার আমলের বিনিময়ে জান্নাতে যেতে পারবে? আল্লাহ্‌ তাআলার দয়া ও করুণা ছাড়া? আসলে এখানে জান্নাতে যাওয়ার বাহ্যিক দিকটাকেই উল্লেখ করা হয়েছে।মূলত আল্লাহ্‌ তাআলার রহমত ও দয়া ছাড়া তো কেউ জান্নাতে জেতে পারবে না। অনুরূপভাবে উক্ত কবিতাতেও বাহ্যিক দিকটাকেই উল্লেখ করা হয়েছে। এমন হাজারো নমুনা কুরআন ও হাদীসে রয়েছে। কেউ কি উচ্চ আখলাক ছাড়া পরিপূর্ণতায় পৌঁছাতে পারে? তাছাড়া উক্ত কবিতাতে আল্লাহর রহমত ও দয়ার বিষয়টি তো অস্বীকার করা হয়নি। আশা করি এতটুকু দ্বারাই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

Loading