প্রশ্ন : ১। জায়নামাযে দাড়িয়ে “ইন্নী ওয়াজ্জাহতু” পড়া যাবে কিনা? পড়লে নামাযের সমস্যা হবে কিনা? ২। স্ত্রী পর্দার সাথে প্রাইমারি স্কুলে জব করতে পারবে কিনা?

উত্তর :

১। জায়নামাযে দাঁড়িয়ে উক্ত দুআ পড়ার কথা কোন হাদীসে পাওয়া যায় না। বরং হাদীস শরীফে তাকবীরে তাহরীমার পরে ছানার পূর্বে উক্ত দুআর কথা এসেছে। কাজেই কেউ পড়তে চাইলে নফল নামাযে তাকবীরে তাহরীমার পরে ছানার পূর্বে উক্ত দুআ পড়তে পারে। যদিও এটা না পড়লে নামাযের কোন ক্ষতি হবে না।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৭৬০; আল বাহরুর রায়েক ১/৩১০

২। ইসলাম পুরুষ ও মহিলা প্রত্যেকের যিম্মাদারী ও দায়িত্ব পৃথকভাবে বণ্টন করে দিয়েছে। পুরুষের দায়িত্ব হল আয় রোজগার করা এবং বাইরের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করা। আর মহিলাদের দায়িত্ব হল বাচ্চাদের দেখাশোনা ও লালন পালন করা এবং ঘরের যাবতীয় দায়িত্ব আঞ্জাম দেওয়া। মহিলারা বাইরে বেরিয়ে পড়লে সন্তানদের আদব কায়েদা, শিক্ষা দীক্ষা কে দিবে? এর দ্বারা তারা মায়ের স্নেহ মমতা থেকেও বঞ্চিত হয়।

শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে মহিলাদের জন্য পর পুরুষের সাথে সহবস্থান করে যে কোন চাকুরী করা সম্পূর্ণ নাজায়েয। এর দ্বারা পর্দাসহ আরো বিভিন্ন হুকুম আহকাম লঙ্ঘিত হতে থাকে। আর প্রাইমারি স্কুলে বাচ্চাদের পড়ালেও সেখানে পুরুষ শিক্ষকদের সাথে অবাধ বিচরণ হয়ে থাকে। তাদের সাথে দেখা সাক্ষাত কথা বার্তা ইত্যাদি হয়ে থাকে। যা গর্হিত কাজ।

তবে কোন মহিলা অসহায় ও নিরুপায় হলে এবং উপার্জনক্ষম ভাই, পিতা, স্বামী, সন্তানাদি ইত্যাদি না থাকলে সেক্ষেত্রে পর্দার সাথে কোন হালাল পেশা অবলম্বন করতে পারে। যেমন হাঁস মুরগী পালন, সেলাই এর কাজ, মেয়েদেরকে কুরআন বা দ্বীনী শিক্ষা অথবা দুনিয়াবি শিক্ষা দিয়ে বিনিময় নেওয়া ইত্যাদি।–সূরা আহযাব, আয়াত ২২, ২৩; ফিকহী মাকালাত ১/২৮

Loading