প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১। আমাদের মসজিদে একজন ইমাম রাখা আছে। কারনবশত সে একদিন আসতে পারে নাই। তারপর তার পরিবর্তে অন্য একজন ইমামতি করে। তার ক্বিরাত অশুদ্ধ ছিলো। আমি তার পিছনে নামায পড়েছি। তাহলে আমার নামায হয়েছি কি? না দোহরিয়ে নিতে হবে? ২। আমি যদি নিশ্চিতভাবে জানি ইমামের ক্বিরাত অশুদ্ধ তাহলে ঐ ইমামের পিছনে নামায পড়লে আমার নামায হবে কি? ৩। আমার গ্রামের মসজিদে ওয়াক্তের নামাযের ইমাম রাখা নাই। সেই জন্য আমি পাশের গ্রামে নামায পড়তে যাই। সেখানে কুরআনে হাফেজ ইমামতি করে। অনেকে বলে গ্রামের মসজিদ বাদ দিয়ে অন্য মসজিদে নামায পড়া ঠিক না। এটা কি সঠিক?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। কোন ইমাম যদি কুরআন শরীফ এমন ভুল পড়ে, যার দ্বারা অর্থ বিগড়ে যায় (অর্থাৎ কুরআনের উদ্দেশ্যই পরিবর্তন হয়ে যায়) তবে তার পিছনে তাদের নামায সহীহ হবে যাদের তিন আয়াত পরিমাণ সহীহভাবে মুখস্থ নেই। আর যাদের তিন আয়াত পরিমাণ সহীহভাবে মুখস্থ আছে তাদের নামায শুদ্ধ হবে না।–ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮৬; মারাকীল ফালাহ, পৃষ্ঠা ২৮৯

২। কখন নামায শুদ্ধ হবে আর কখন নষ্ট হবে তা উপরের উত্তর থেকে স্পষ্ট হয়েছে।

৩। যদি আপনার গ্রামের মসজিদে এমন লোক ইমামতি করে যাদের তিলাওয়াত সহীহ নেই আর আপনি এজন্যই পাশের গ্রামে যান তবে আপনার অন্য গ্রামে যাওয়া ঠিকই আছে। তবে নিজ মহল্লায় সহীহ ও যোগ্য ইমাম থাকা সত্ত্বেও অন্য মসজিদে যাওয়া অন্যায়। এমতাবস্থায় আপনার গ্রামবাসীদের জন্য জরুরী হল একজন যোগ্য ইমামের ব্যবস্থা করা।–সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৬৬; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৫৭

Loading