প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম আপনি একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন “চামড়ার নীচের টিউমারের মত উঁচু গোশত খাওয়া হারাম” ১। এটা কি শুধু হাস-মুরগির চামড়ার ক্ষেত্রে? ২। চামড়ার নীচের দিকে লেজের অংশের দিকে এরকম একটা নরম টুকরা আছে। আপনি কি সেটির কথা বলেছেন? ৩। আমার স্ত্রী বলে, মুরগির রানের গোস্তের ভিতরে ছোট একটা টুকরা আছে সেটা নাকি হারাম। গলার জবাইএর অংশ খাওয়া নিষেধ। গলার মাঝ বরাবর যে সাদা রগ থাকে সেটি খাওয়া নাকি হারাম। এগুলো কি খাওয়া যাবে? ৪। স্বপ্ন, এগোরা, মীনা বাজারের জবাই করা হাস, মুরগী, গরু, খাশী ইত্যাদির গোস্ত কিনে খাওয়া কি হালাল হবে? সেগুলা মেশিনে নাকি হাতে জবাই করা (মানে সহীহ ভাবে জবাই করা কিনা) সেটা নিশ্চিতভাবে বলে না বা জানে না। তেমনিভাবে কে,এফ,সি, পিজা হাট ইত্যাদি থেকে মিট খাওয়া কি হালাল হবে যদি তারা আন্দাজে বলে জি স্যার ১০০% হালাল কিন্তু মেশিনে নাকি হাতে জবাই করা (মানে সহীহ ভাবে জবাই করা কিনা) সেটা নিশ্চিতভাবে বলে না বা জানে না। ওরা বলে আমাদের কাছে জবাই+প্রসেসিং হয়ে আমাদের কাছে আসে। অনেক সময় আমরা রাস্তার বিভিন্ন হোটেলে খাবার খাই। এসব হোটেলের রান্না করা গোস্ত খাওয়া কি হালাল হবে? সহীহ ভাবে জবাই করে কিনা সেটা তো জানা নাই। ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠّٓﻪُ ﺧَﻴْﺮً

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। সকল প্রাণীর ক্ষেত্রে।

২। না, সেটি নয়। স্বাভাবিকভাবে প্রাণীর যে গঠন ও অংশগুলো থাকে তা উদ্দেশ্য নয়। বরং স্বাভাবিক গঠনের বাইরে যে টিউমার (অতিরিক্ত গোস্ত) হয় তা খাওয়া হারাম।

৩। এই তিনটির কোনটিই হারাম নয়।

৪। আমাদের দেশের সাধারণ হোটেলগুলোতে তো সমস্যা নেই। কেননা এগুলো মুসলমান দ্বারা পরিচালিত। তবে হিন্দু হলে মুরগী খাসী ইত্যাদি ততক্ষণ পর্যন্ত না খাওয়া চাই যতক্ষণ না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তা কোন মুসলমান জবাই করেছে। আর স্বপ্ন, এগোরা, মীনা বাজার, কে,এফ,সি, পিজা হাট এগুলোর জবাই পদ্ধতি একটু তাহকীক করে বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ রইল। যেমন বাইরে থেকে জবাই হয়ে আসে কিনা? জবাই কোন পদ্ধতিতে করে? কারা জবাই করে? মেশিনে জবাই করে কিনা? ইত্যাদি। আমিও জানার চেষ্টা করছি। বিস্তারিত জেনেই উত্তর দিব ইংশাআল্লাহ।

Loading