প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম হযরত আমার প্রশ্ন গুলো হলো:- ১/ যদি কারো ফজরের নামায কাযা হয়ে যায় তবে পরে যখন সে তা ক্বাযা করবে তখন চাইলে ইশরাকের নামায পড়তে পারবে কি? নাকি যেদিন কাযা হয়ে যাবে সেদিন ইশরাক/চাশত আর পড়তে পারবে না? ২/নামায শেষে যদি মনে হয় নামায ৪ রাকাআত না ৩ রাকাআত পড়েছি হবে তাহলে কি এই নামায পুনরায় পড়তে হবে? আর এমন ভুল যদি নামাযের মধ্যে মনে পড়ে শেষ বৈঠকে তখন করণীয় কি হযরত? ৩/ হযরত সব নামায শেষে মসজিদ থেকে চলে যাওয়ার আগে বা এমনিতে মনে ভালোবেসে গুনাহের জন্য লজ্জিত হয়ে আল্লাহ তাআলাকে সেজদাহ দেওয়া যাবে কি? আর দিলে বাংলা দুআ না পড়লাম আরবী যে কোনো দুআ পড়া যাবে কি? যেমন এস্তেগফার, বিপদ আপদ এর জন্য, দেনা পরিশোধের, রিজিকের জন্য। আর এক কথায় নিজের কল্যাণ এর জন্য অন্যের কল্যাণ এর জন্য দিতে পারবো? বারাকাল্লাহু ফি হায়াতিকা

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। হ্যাঁ, পড়তে পারবে।

২। যদি নামায শেষ হওয়ার পর উক্ত সন্দেহ সৃষ্টি হয় তবে তার প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করা চাই। বরং নামায হয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ, যদি স্পষ্টভাবে স্মরণ আসে যে, এক রাকাআত কম হয়ে গিয়েছে তবে নামায ভেঙ্গে যায় এমন কোন কথা বা কাজ না করে থাকলে আর এক রাকাআত মিলিয়ে সিজদায়ে সাহু করে নামায শেষ করবে। যদিও এমতাবস্থায় নামায নতুনভাবে শুরু করা উত্তম। আর যদি নামায ভেঙ্গে যায় এমন কোন কথা বা কাজ করে থাকে তবে ঐ নামায পুনরায় দোহরিয়ে নিবে।

আর যদি নামাযের মধ্যে রাকাআত নিয়ে সন্দেহ হয় আর এমনটি কদাচিৎ বা কম হয় তবে পুনরায় নতুন করে নামায পড়তে হবে। আর যদি প্রায়ই বা ঘন ঘন হয় তবে দেখবে কোন একদিকে প্রবল ধারণা হয় কিনা? যদি হয় তবে তাই গ্রহন করবে। আর প্রবল ধারণা না হলে কমটিকে (অর্থাৎ তিন রাকাআত) ধরে নামায আদায় করবে। অতঃপর শেষ বৈঠকে সিজদায়ে সাহু দিয়ে নামায শেষ করবে।– আদ্দুররুল মুখতার ২/৯২; ফাতহুল কদীর ১/৫১৮; তাতারখানিয়া ১/৭৪৭।

৩। কোন বড় নিয়ামত প্রাপ্ত হলে বা বিপদ দূর হয়ে গেলে সিজদায়ে শোকর মুস্তাহাব। তবে নামাযের পরে তা মাকরূহ। অনুরূপভাবে যে তিন সময় নামায পড়া মাকরূহ সিজদায়ে শোকরও মাকরূহ।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ২৭৭৬; আদ্দুররুল মুখতার ২/১১৯,১২০
আর কোন প্রয়োজন দেখা দিলে বা বালা-মুসীবাতে বা গোনাহের তাওবার জন্য দুই রাকাআত নামায পড়ে আল্লাহ তাআলার কাছে দুআ করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটি করতেন। এ নামাযের সিজদায় আরবীতে কুরআন হাদীসে বর্ণীত দুআ করা যায়।- সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৩২১; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১৩৯৫; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং ১১৮০

Loading