প্রশ্ন : অাসসালামু আলাইকুম। হুজুর আমার বাচ্চার বয়স ৬ বছর। সে তার পাশের বাড়ির অন্যান্য বাচ্চাদের টিভি, কম্পিউটার ইত্যাদি চালাতে দেখে সে ও চালাতে চায়। তাই যখন সে বিরক্ত করে বা কম্পিউটার দেখতে চায় তখন তাকে আমার বাসার কম্পিউটারে প্রাণিদের ভিডিও দেখাই। যেটা জিও গ্রাফি চ্যানেলে দেখানো হয়। এতে করে আমার বাচ্চা প্রাণিদের নাম, তাদের আচরণ, হিংস্রতা ইত্যাদি বিষয়ে শিখতে পারে এবং অন্যন্য ভিডিও যেমন কার্টুন, নাটক, গান, মুভি ইত্যাদি দেখা থেকে বিরত থাকে। তার কাছে প্রাণির দেখাই এখন পছন্দের। যেহেতু বর্তমানে অশ্লিল গান ও ভিডিওর ছড়াছড়ি তাই ওগুলা থেকে বাচানোর জন্য মাঝে মাঝে যদি প্রাণির ভিডিও দেখাই তবে তা ইসলামের দৃষ্টিতে এবং আমার ছেলের ভবিষ্যতের জন্য কেমন প্রতিক্রিয়া করবে জানালে উপকৃত হব। আর আমার ছেলেকে মাদ্রাসায় পড়াবো বলেও নিয়ত করেছি। এজন্য তাকে অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে বেশি মিশতে দেই না। কারণ তারা আমার ছেলেকে খারাপ করে ফেলতে পারে। আশা করি সঠিক পরামর্শ দিয়ে উপকৃত করবেন।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

যদি একান্ত ভিডিও দেখাতে হয় তবে প্রাণীর ছবিবিহীন কোন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখাবেন। তাছাড়া হিংস্র প্রাণীর ভিডিও তার মানসিক বিকাশে ও স্বভাব চরিত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে। ধিরে ধিরে তার মধ্যেও হিংস্র ভাব আসতে পারে। এজন্যই তো হাদীস শরীফে কুকুর পালনে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। কেননা কুকুর পালন করলে কুকুরের স্বভাব মানুষের ভিতর আসতে থাকে।

উল্লেখ্য যে, এই ফেতনার যুগে বাচ্চাদের প্রযুক্তি ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া (মোবাইল, কম্পিউটার, ট্যাব ইত্যাদি) থেকে যত দূরে রাখা যায় ততই নিরাপদ। এগুলোর আসক্তি যে কিশোর ও যুবকদের দুনিয়া আখেরাত ধ্বংস করে দিচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তাদের বিনোদনে শারীরিক খেলাধুলা, খেলনা জাতীয় বস্তুর প্রতি উৎসাহিত করা নিরাপদ।

Loading