প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, আমি একটি কুফরী কথার (আমার সন্ধেহ হচ্ছে, সেটা কুফরী কথা) হুকুম জানতে চাচ্ছি। ঘটনা হচ্ছে, বর্ষাকালীন সময়ে বৃষ্টিতে গতবার অনেক মানুষের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। আমার মেজো চাচারও ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছিল। একদিন এক মজলিসে এ প্রসঙ্গ উঠতেই উনি একটি বাক্য উচ্চারণ করলেন-(বাক্যটি হল- নাউযুবিল্লাহি মিন যালিকা, ‘আল্লাহর কি আক্কল নাই’) এবং আমি তৎক্ষণাৎ তাকে এ থেকে নিবৃত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলাম। আমি বুঝাতে চেষ্টা করলাম এটা আল্লাহ তাআলার পরীক্ষা, আল্লাহ্‌ কুরআনেই বলেছেন এভাবে ফল-ফসলের ক্ষতির দ্বারা আল্লাহ্‌ আমাদের পরীক্ষা নিবেন। এখন জানার বিষয় হল, ১। উনি কি ইসলাম থেকে বের হয়ে গিয়েছেন? ২। যদি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায় এবং ঐ উক্তি থেকে তাওবা না করে যদি কখনো ঈমানের কালিমা মুখে উচ্চারণ করে তবে কি- ঈমান এনেছে বলে গণ্য করা হবে? ৩। এবং তাদের বিবাহ দোহরানোর ক্ষেত্রে চাচির পরিবারের লোকদেরকে কি সাক্ষী হিসেবে থাকতে হবে, না কি চাচির পক্ষ হয়ে আমাদের পরিবারস্থ কেউ সাক্ষী হলেই চলবে? (এটা এজন্য যে, আমরা চাই না অনেক মানুষ তা জানুক, যা তাদের বিব্রত অবস্থায় ফেলে দেয়)। ওয়াসসালামু আলাইকুম

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
প্রিয় দ্বীনী ভাই, আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে বিলম্ব হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
১+৩। হ্যাঁ, উক্ত কথাটি স্পষ্ট কুফরী কথা। তার নতুন করে ঈমান আনয়ন ও বিবাহ দোহরানো জরুরী। আর বিবাহের ক্ষেত্রে যে কোন দুজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা সাক্ষী হলেই চলবে। মহিলার পরিবারস্থ কেউ থাকা জরুরী নয়।
২। নতুন করে ঈমান আনার সাথে সাথে তাওবা করাও জরুরী।
সূত্রসমূহঃ ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/২৫৮, ২৮৩; আল বাহরুর রায়েক ৫/২১০; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/৩২৩

Loading